বিশ্বের উচ্চতম বিল্ডিং হল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা।প্রায় ৮৩০ মিটার উঁচু এই বিল্ডিংটি দুবাই সহ বিশ্বের অন্যতম দ্রষ্টব্য। হলিউড থেকে বলিউড, নানা ছবিতে উঠে এসেছে এই ইমারত। তবে সম্প্রতি যে কারণের জন্য ফের একবার চর্চায় এসেছে বুর্জ খলিফা তা জানলে এবং দেখলে চোখ কপালে উঠবে। জীবন বাজি রেখে বুর্জ খলিফার সুউচ্চ চূড়ায় শুট করা হয়েছে একটি বিজ্ঞাপন!
মূলত দুবাইয়ের বিমানসংস্থা এমিরেটসের দুবাই থেকে ব্রিটেন যাওয়া নিয়েই এই বিজ্ঞাপন৷ 'টপ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড'-এ এমিরেটসের বিমানসেবিকার পোশাক পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক মডেল। পায়ে রয়েছে হাই হিলস। বুর্জ খলিফার চূড়ায় কোনওভাবে দু'পা রেখে দাঁড়াতে পারবেন কেবল একজন ব্যক্তিই। শুটিংয়ের জন্য যতই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে না কেন, 'স্থান মাহাত্ম্য' বলে ব্যাপারটির ফলে ওই বিজ্ঞাপন দেখে শরীরের রোম খাড়া হয়েছে দর্শকের। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অত উঁচু থেকে গোটা দুবাইকেই ঝুলনের খেলনা শহর বলে মনে হচ্ছে। অঞ্চলের বাকি ইমারতেরা হয়ে গেছে পিঁপড়ের সাইজের। উল্লেখ্য,ওই ভিডিওতে 'বিমান সেবিকা' কয়েকটি প্ল্যাকার্ড ধরে দাঁড়িয়ে আছেন আকাশ ছোঁয়া বুর্জ খলিফার মাথার উপর। তিনি যাত্রীদের সংস্থার বিমানে চড়ার আবেদন জানাচ্ছেন।
এই বিজ্ঞাপনটি আসার পর মুগ্ধতা প্রকাশ করলেও অনেক নেটিজেনই এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কেউ সরাসরি 'ফেক' বলেছেন তো কারও দাবি ক্যামেরার কারিকুরির সাহায্যে এসব শুটিং সারা হয়েছে। পাল্টা কোনও বিবৃতি না দিয়ে এই বিজ্ঞাপন কীভাবে শুট করা হলো তার একটা ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে এমিরেটসের তরফে ৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে শুটিংয়ের আগে বেশ কয়েকদিনের কড়া ট্রেনিং সেরেছেন ওই 'বিমানসেবিকা'। প্রসঙ্গত, ওই মডেলের নাম নাম নিকোল স্মিথ লুডভিক। পেশায় তিনি একজন স্কাই-ডাইভারও।ব্যবস্থা করা হয়েছিল সর্বোচ্চ নিরাপত্তার। কীভাবে বুর্জ খলিফার চূড়ায় পৌঁছল শুটিং টিম, ছোট্ট করে তারও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিওতে।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বুর্জ খলিফার চূড়ায় শুটিং সারা হয়েছে। আর তা সেরেছেন বিশ্ববিখ্যাত হলিউড তারকা টম ক্রুজ। ২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিল টমের ' মিশন ইম্পসিবল' সিরিজের চার নম্বর ছবি। সেই ছবির প্রচারের জন্যেই একটি পোস্টারের শুট করতে বিশ্বের উচ্চতম বিল্ডিংয়ের চূড়ায় উঠেছিলেন 'ইথান হান্ট'। সেই ফটোশুটের সময় না তো ছিল টিমের পায়ে কোনও জুতো কিংবা কোমরে লাগানো কোনও হার্নেস। বুর্জ খলিফার চূড়ায় বসে পা ঝুলিয়ে হাস্তে হাসতে সেই শুট সেরেছিলেন টম। সেবারেও সারা বিশ্বজুড়ে যে হইচই পড়েছিল তা বলার জন্য কোনও পুরস্কার নেই।