১৯৯৪ সালে 'বিশ্ব সুন্দরী'-র খেতাব জিতে রাতারাতি খ্যাতির লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন ঐশ্বর্য রাই। 'বিশ্ব সুন্দরী'-র মুকুট জয়ের পর দেশের মাটিতে কীভাবে স্বাগত জানানো হয়েছিল তাঁকে, সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওর নানান ক্লিপে ধরা পড়েছে সে সময়ের নানান অদেখা ঘটনা। লেখাই বাহুল্য, নেটপাড়ায় হু হু করে ভাইরাল হওয়া শুরু হয়েছে বলি-তারকার সেই ভিডিও।
ভিডিয়োর প্রথমেই দেখা যাচ্ছে গাড়ির দরজা খুলে কিছুদূরে দাঁড়ানো একটি রথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ঐশ্বর্য। মাথায় হীরের মুকুট, শ্বেত শুভ্র রঙের পোশাকের সঙ্গে উঁচু করে মাথায় বাঁধা খোঁপা যেন এক ঝটকায় জৌলুস বাড়িয়ে দিয়েছে নীলনয়না সুন্দরীর। ঐশ্বর্যর চারপাশে তখন শুধু অগুনতি মানুষের মাথা। আর সেখান থেকে মুহুর্মুহু সদ্য বিশ্ব সুন্দরীর তাজ পাওয়া ঐশ্বর্যর নামের জয়ধ্বনি উঠছে। এক হাত উপরে তুলে জড়ো হওয়া ভক্তদের তা নাড়িয়ে রথে গরিয়সী ভঙ্গিতে রথের আসনে বসেন তিনি।
সন্ধ্যের আকাশে তাঁর সম্মানে তখন ক্রমাগত ফাটানো শুরু হয়েছে আতশবাজি। রথের দু'পাশে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য পুলিশকর্মীদেরও। ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। চারপাশে তখন 'ঐশ্বর্য, ঐশ্বর্য' রব। সবাই একবার এই বিশ্বসুন্দরীকে সামনে থেকে দেখতে চায়। ভিড়ের এককোণ থেকে উন্মত্ত অনুরাগীদের সমবেত গর্জন ভেসে এল, 'আমরা ঐশ্বর্যকে চাই!'। এর খানিকক্ষণ পরেই দু'পাশের ভিড় চিৎকার করে উঠল 'গুল্লু, গুল্লু' আওয়াজ। তাঁদের লক্ষ্য যে রথে বসা ঐশ্বর্যই তা বলাই বাহুল্য। আসলে, ঐশ্বর্যের ডাক নাম যে 'গুল্লু' সেকথা ততদিনে সংবাদমাধ্যমের দৌলতে জেনে গেছে আসমুদ্রহিমাচল ভারতবাসী। একেবারে শেষের দিকে রথে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে হাসিমুখে ক্রমাগত হাত নাড়তেও করতেও দেখা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে অর্থাৎ 'বিশ্বসুন্দরী'-র খেতাব জেতার ২০ বছর পর তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের জন্য বিশ্ব সুন্দরীর প্রতিযোগিতার মঞ্চে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। পাশে দাঁড়িয়ে তখন তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চন। ঐশ্বর্যকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গেছে ২০১৮ সালে 'ফ্যানি খান' ছবিতে। যদিও এইমুহূর্তে মণিরত্নমের আগামী প্রোজেক্টে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।