ভারতীয় গ্ল্যামার দুনিয়ার অন্যতম সুন্দরী নায়িকা তিনি। নিজের শর্তে বাঁচেন এই বঙ্গ তনয়া, বয়স পঁয়তাল্লিশ পার হলে কী হবে, আজও টিনএজারদের ক্রাশ তিনি। কথা হচ্ছে সুস্মিতা সেনের। যিনি আজ থেকে ২৭ বছর আগে প্রথম ভারতীয় হিসাবে মিস ইউনিভার্সের তাজ জিতে বিশ্ব মঞ্চের আঙিনায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন।
১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে মিস ইউনিভার্সের মুকুট উঠেছিল সুস্মিতার মাথায়। তখন তাঁর বয়স সবে ১৮! বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি গোটা দেশের। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সুস্মিতা। দুৃদিন আগেই দিল্লির এক হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেন সরোজিনী নগরে বেড়ে উঠা সুস্মিতা। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সুস্মিতার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা জয়ের ঠিক পরের এক সাক্ষাত্কারের ক্লিপিংস। যেখানে নিজের লেখা কবিতা পাঠ করে শোনাচ্ছেন অভিনেত্রী। সেই কবিতা সত্যিই অনুপ্রাণিত করবে আপনাকে।
ইংরাজিতে লেখা সেই কবিতাটি মিস ইন্ডিয়ার মুকুট জয়ের পরেই লিখেছিলেন সুস্মিতা, জানান তিনি। মানবধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, মানুষের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার মধ্যেই জীবনের আসল সাফল্য সেই কথাই ধ্বনিত হয়েছে অষ্টাদশী সুস্মিতার লেখনিতে।
তাঁর সেই কবিতার বাংলা তর্জমা করলে খানিকটা দাঁড়ায়, ‘যদি আমার সমস্ত ব্যথা এবং আমার সমস্ত অশ্রু এবং আমি এই কয়েক বছর ধরে যা শিখেছি, তা যদি কোনও নত হয়ে যাওয়া মাথাকে ফের উঁচু করতে পারে, একটি অন্ধকার মনকে আলোকিত করতে পারে, তবেই আমি মনে করব এই মানবজাতির প্রতি আমার সেবা ব্যর্থ হয়নি’।
ভিডিয়োয় বেগুনি রঙা ব্লেজারে, কানে কালো রঙের বড় দুল, মাঝখান দিয়ে সিঁথি করা চুল টেনে বাঁধা আর ঠোঁটে মেরুন লিপস্টিকে মোহময়ী সুস্মিতা সেন।
বিবি নম্বর ওয়ান, মেয় হুঁ না, মেয়েনে প্যায়ার কিঁউ কিয়ার মতো জনপ্রিয় বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন সুস্মিতা। ২০১০ সালে বলিউড থেকে লম্বা বিরতি নেন অভিনেত্রী। মেয়ে রেনে ও আলিশাকে বড়ো করাই তখন একমাত্র লক্ষ্য ছিল এই সিঙ্গল মাদারের।এরপর ২০১৫ সালে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নির্বাকে অভিনয় করেছিলেন সুস্মিতা। গত বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস হটস্টারে ‘আর্য’ ওয়েব সিরিজের সঙ্গে কামব্যাক করেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এই সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের শ্যুটিং সেরেছেন সুস্মিতা।