বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Video: প্রয়াতা স্ত্রীকে নিয়ে প্রশ্নে সাংবাদিকের ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন শশী কাপুর

Video: প্রয়াতা স্ত্রীকে নিয়ে প্রশ্নে সাংবাদিকের ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন শশী কাপুর

শশী কাপুর এবং জেনিফার কেন্ডেল। ছবি সৌজন্যে - হিন্দুস্তান টাইমস

 ১৯৯১ সালে এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত স্ত্রী জেনিফারকে নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠলে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিলেন শশী কাপুর। মুখে হাসি টেনে প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে রীতিমতো দাবড়ানি দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে করা প্রশ্নে সংবাদমাধ্যম বা ফ্যানদের সঙ্গে যেমন বহু তারকা স্বাচ্ছন্দ্যভাবেই জবাব দেন তেমনই বেশ কিছু তারকারাও রয়েছে যাঁরা পর্দার বাইরে নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে 'লাইমলাইট'-এর দূরেই রাখতে চান। কিংবদন্তি অভিনেতা শশী কাপুর এক্ষেত্রে ছিলেন তেমনই একজন 'ওল্ড স্কুল' ব্যক্তিত্ব।

১৯৫৮ সালে ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেনিফার কেন্ডেলের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন শশী কাপুর। প্রায় তিন দশকের ওপর একসঙ্গে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন এই জুটি। ১৯৮৪ সালে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন 'শশী-পত্নী।'স্বাভাবিকভাবেই এরপরে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন শশী। বলিউড থেকেও নিজেকে বেশ কিছুটা সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এই বিষয়ে কোনওদিনই তেমন কিছু প্রকাশ্যে বলতে দেখা যায়নি বলিউডের এই কিংবদন্তি অভিনেতাকে। ১৯৯১ সালে এক সাক্ষাৎকারে জেনিফারকে নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠলে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিলেন 'কালা পাত্থর'-এর অন্যতম নায়ক। মুখে হাসি টেনে প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে রীতিমতো দাবড়ানি দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি, প্রকাশ্যে এসেছে ওই সাক্ষাৎকারের সেই অংশের ভিডিও। ইনস্টাগ্রামে 'নট হোয়াই রাল' নামের এক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়েছে সেই ভিডিও তাতে দেখা যাচ্ছে সাদা কুর্তা-পাজামার ওপর কাশ্মীরি শাল জড়িয়ে কেদারায় বসে রয়েছেন শশী। এক ঢাল কাঁচা পাকা চুল ও মুখে অমলিন সেই হাসিরটি থাকলেও দৃশ্যত স্পষ্ট বয়স ততদিনে থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে। উল্টো দিকে বসা মহিলা সাংবাদিক কথাপ্রসঙ্গে তোলেন জেনিফারের প্রসঙ্গ। জিজ্ঞেস করেন স্ত্রীর মৃত্যু তাঁকে প্রভাবিত করেছে কি না। 'লাইফস্টাইল'-এও পরিবর্তন আসার ব্যাপারেও প্রশ্ন রেখেছিলেন সেই সাংবাদিক। জবাবে স্বল্প কোথায় শশী জানিয়েছিলেন যে জেনিফারের মৃত্যু তাঁকে বদলে দিয়েছে অনেকটাই। '২৮ বছর একসঙ্গে ঘর করেছি।সে তো আমার অন্তরঙ্গ বন্ধুও ছিল। অন্যতম ভরসাও।যাকে বলে আমার জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।তাই বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন তো এসেছে বটেই!'

 

এরপরেই সাংবাদিক শশীকে জিজ্ঞেস করে বসেন যদি তিনি এই ব্যাপারটি একটু বিশদে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে তা বাতিল করেন বলিউড-নায়ক। বলে ওঠেন,'এটা বড্ড ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা বরং আমার পেশাগত দিক নিয়েই আলোচনা করি! সেটাই ভালো হবে।' এরপর ফের একবার সেই সাংবাদিক জেনিফার প্রসঙ্গ তুললে বেশ রুষ্ট হন তিনি। তবে মেজাজ হারাননি তিনি। যেমন ভোলেননি মুখের মিষ্টি হাসিটি ধরে রাখতে। নরম স্বরে তিনি সেই সাংবাদিককে বলেন, এবার কিন্তু সত্যিই বড্ড ব্যক্তিগত হয়ে যাচ্ছে ব্যাপারটা।'

বলাই বাহুল্য, মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। তবে এতকিছুর মধ্যেও পরেও সেই সাংবাদিকের প্রতি রাগ হলেও যে মেজাজ হারাননি শশী তা নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। প্রয়াত স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মান ওই ভিসোতেই যেভাবে নিরুচ্চারিতভাবে জ্ঞাপন করেছেন অধুনা প্রয়াত এই বলি-তারকা তাও অবাক করেছে নেটিজেনদের।

 

বন্ধ করুন