বরাবরই স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই বিদ্যা বালনের। বলিউডে চুটিয়ে নারীকেন্দ্রিক ছবি করার পাশাপাশি হিন্দি ছবির চিত্রনাট্যে নারী চরিত্রের ভূমিকায় বিশাল ফারাক আনার পিছনে যে বিদ্যার অবদান অনেকখানি একথা তাঁর অতি বড় নিন্দুকও এককথায় স্বীকার করবেন। কেরিয়ারের শুরুর দিকে ওজন এবং পোশাকের জন্য সমালোচনা ও নীতি পুলিশদের কটাক্ষ শুনতে হলেও পরবর্তী সময়ে তাঁর সেই ফ্যাশন সেন্স যে অন্যদের তুলনায় স্বতন্ত্র, সেকথা মানতে বাধ্য হয়েছে সকলেই।
এবার যৌনতা ও সঙ্গম নিয়ে মুখ খুললেন এই 'শেরনি' অভিনেত্রী। যদিও বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আজও যৌনতা এবং সঙ্গম নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে দু'বার ভাবেন বলি-নায়িকারা। সেখানে এর আগেও যৌনতা নিয়ে নিজের মতামত খুল্লাম খুল্লা পেশ করেছেন বিদ্যা। সম্প্রতি, ফিল্মফেয়ার-কে এক সাক্ষাৎকার দেওয়াকালীন এই প্রসঙ্গ উঠতেই নিজের যৌন জীবনের বেশ কিছু গোপন কথা কোনও দ্বিরুক্তি ছাড়াই প্রকাশ করলেন তিনি। জোর গলায় বিদ্যার দাবি, 'যাঁরা বলেন চল্লিশের কোঠা পেরোনোর পরে একজন নারী আরও দুষ্টু হয়ে যান, একেবারে ঠিক বলেন। আমি একেবারে সহমত তাঁদের সঙ্গে!' আরও বলেন, 'শুধু দুষ্টুই নয়, অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং আবেদনময়ী হয়ে ওঠেন নারীরা'।
এরপরেই বোমাটা ফাটান বলি-অভিনেত্রী। বলে ওঠেন, 'আসলে আমাদের মেয়েদের রীতিমতো শেখানো হয় সঙ্গম ব্যাপারটাই আমাদের আনন্দের জন্য নয়। আর বয়স বাইরে চলার সঙ্গে নারীদের অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগার বীজ এই কথাতেই পোঁতা রয়েছে। আসলে ঠিক এই কারণেই চল্লিশ পেরোনোর পরেই ধীরে ধীরে অনেক বেশি সাহসী আর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন নারীরা। কোনও কিছুতেই আর তেমন ভয় থাকে না তাঁদের। যৌনতা এবং সঙ্গম যে তাঁদের জন্য দারুণ আনন্দের একথা উপলব্ধি করতে পারেন নারীরা!'
সামান্য থেমে এই প্রসঙ্গে নিজের উদাহরণ টেনে 'দ্য ডার্টি পিকচার' এর নায়িকা বলে ওঠেন, 'ধরুন আমি। চলিশ পেরোনোর পর মনে হয় যেন বয়স আমার কমছে। এই আগে যেমন মানুষ হিসেবে প্রচুর আগল ছিল আমার, সেসব এখন আর নেই। সিরিয়াস ব্যাপারটাই ভাগিয়ে দিয়েছি। যখন কুড়ির কোঠায় ছিলাম তখন স্রেফ স্বপ্নের পেছনে ছুটতাম। তিরিশে এসে ধীরে ধীরে নিজেকে আবিষ্কার করা শুরু করেছিলাম। আর এখন চল্লিশ পেরোনোর পর জীবনটাকে চুটিয়ে উপভোগ করছি আর বাঁচছি'।