আর পাঁচজনের মতো লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন তিনিও, জানালেন বিদ্যা বালন। আর তা বাইরে নয়, খাবার টেবিলে একসঙ্গে বসা আত্মীয়দের আচরণ। বিদ্যার উদ্দেশে বলা হয়েছিল তিনি যেন অবশ্যই রান্নাটা শিখে নেন। রান্নাবান্না জানাটা একান্তই জরুরি তাঁর জন্যে। অথচ বিদ্যার কথায়,' আমি বা আমার স্বামী দু'জনের কেউই কিন্তু রান্না করতে পারি না। তা সত্ত্বেও বলা হয়েছিল আমাকে।' বিদ্যার বলার মধ্যে ইঙ্গিতটা ছিল স্পষ্ট।
এক জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ফাঁকে এই তারকা-অভিনেত্রী জানিয়েছেন লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আচরণ যে সবসময় বিপরীত লিঙ্গের কোনও মানুষের তরফে আসবে এমন ভাবাটাই ভুল। বিদ্যার কথায়,এই উপরের বলা ঘটনাটাই সেই ব্যাপারটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। 'দ্য ডার্টি পিকচার'-এর অভিনেত্রী বলেন আগের থেকে অনেক কম হলেও এখনও তিনি এরকম আচরণের মুখোমুখি হন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি যে নিজের মেজাজ সামলে রাখতে পারেন না মোটেই, সেকথাও অকপটে জানালেন বিদ্যা।
এরপরেই সেই 'ডিনার টেবিল'-এর ঘটনার স্মৃতিতে ফায়ার যান বিদ্যা। বলা শুরু করেন তিনি রান্নাবান্না পারেন না শুনে চোখ কপালে তুলেছিলেন ওই আত্মীয়রা। অভিনেত্রী অবশ্য কোনও রক্ষক না করে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর স্বামী সিদ্ধার্থ, দু'জনের কেউই রান্নার 'অ আ ক খ'-টুকু পর্যন্ত জানেন না। তা শুনেও না দোমে ওই আত্মীয়ারা বলে উঠেছিলেন সিদ্ধার্থ জানুক কি না জানুক তোমাকে রানা জানতেই হবে। এখানেই ঠিক আপত্তি অভিনেত্রীর। প্রশ্ন তোলেন যে স্বামী সিদ্ধার্থের ক্ষেত্রেও কেন একই কথা প্রযোজ্য নয়? শুধু তাই নয়, বিদ্যার মাও একবার তাঁর মেয়েকে রান্না শেখার ব্যাপারে নাকি নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কথা শোনামাত্রই নায়িকার সপাটে জবাব ছিল,' খামোখা কেন রান্না শিখতে যাবো? আমি এখন যা রোজগার করি তাতে একজন রাঁধুনিকে বেতন দিয়ে রাখতেই পারি অথবা এমন কোনও ব্যক্তিকে বিয়ে করতেই পারি যাঁর রান্নাটা আসে!'
আগামী ১৮ জুন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিমিং হতে চলেছে বিদ্যার পরবর্তী ছবি 'সের্নি'-র। অমিত মাসুরকর পরিচালিত এই ছবিতে একজন দুঁদে বন দফতরের অফিসারের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন অভিনেত্রী।