টিআরপির খেলায় এখন বছরের পর বছর ধরে চলা মেগা সিরিয়ালের কনসেপ্ট অতীত। এখন মানে মানে ৫-৬ মাস কোনও সিরিয়াল চলে গেলেও সেটাকে অনেক মনে করেন অনেকেই। ২-৩ মাসেও বন্ধ হয়েছে একাধিক ধারাবাহিক। এমন সময় সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকের চরিত্রগুলো নিয়ে যেমন দর্শকরা মতামত দেন, সমালোচনা করেন তেমনই আবার কটাক্ষ করতেও ছাড়েন না। একটু ভুলচুক হলেই উড়ে আসে কটাক্ষের বাণ। এবার সেই নিশানায় পড়ল জি বাংলার ‘খেলনা বাড়ি’।
‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকের নয়া প্রোমো প্রকাশ্যে আসতেই চরম ট্রোল্ড হল মিতুল। কেন? কী দেখা গিয়েছে সেই ভিডিয়োতে? বেশি কিছু না। গল্পের নতুন মোড়ে দেখা যাবে ইন্দ্রজিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি এখন একটি আইনি মামলায় ফেঁসে জেলে রয়েছেন। স্বামী জেলে যেতেই 'কঠিন লড়াই শুরু' মিতুলের। স্বামীকে বাঁচাতে সে দ্বারস্থ হয় জেলারের। অনুরোধ করেন তাঁকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ যে জেল, মামাবাড়ি নাকি যে বললেই ছেড়ে দেবে! না সে আমরা যতই মজা করে সেটাকে মামাবাড়ি বলি আদতে তো না। ফলে জেলার তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, 'এটা জেল একবার ঢুকলে এত সহজে বের হওয়া যায় না।' ব্যাস অমনি মিতুলের ভোল বদল। স্বামী জেল থেকে বের হতে না পারলে কী হবে, মিতুল তো জেলে যেতেই পারে তাই না! তাই সে ছেলে সেজে, দাড়ি গোঁফ এঁকে ঢুকে পড়ল জেলে। অপরাধ? উম, সেটা জানা যায়নি যদিও। সিরিয়াল দেখলে আঁচ পাওয়া যাবে। আপাতত ইন্দ্রজিতের সঙ্গে তাঁর ঠিকানাও জেল। আর জেলে ঢুকেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় মিতুল। বলে জেল কেন জাহান্নামে থাকলেও সেখান থেকে সে তার স্বামীকে বাঁচাবে।
এই প্রোমো পোস্ট হতেই শুরু হয়েছে মজা। জি বাংলার পেজেই বসেছে কটাক্ষের আসর। এক ব্যক্তি লেখেন, 'ও মা গো! এটা কী! অভিনেতাগুলো হয়েছে এক। পকেটে টাকা ঢুকলেই হল। ভুলভাল যা দেখাচ্ছে সেটাই করে যাচ্ছে।' আরেক দর্শক লেখেন, 'তেঁতুল কাকির এখন তো লড়াইয়ের সময়ই। টিআরপি যে তলানিতে ঠেকেছে।' অন্য এক নেট নাগরিক মন্তব্য করেন, 'সত্যিই মিতুল কাকির কোনও তুলনা হয় না! মামাবাড়ির মতো জেলেও যখন খুশি ঢুকে পড়তে পারে।' অন্য আরেকজন লেখেন, 'দয়া করে এবার এটাকে বন্ধ করুন। এত বিশ্রী সিরিয়াল আগে দেখিনি।'