বান্ধবী জেসমিনকে বিয়ে করতে চলেছেন বিজয় মালিয়ার ছেলে সিদ্ধার্থ মালিয়া। ইনস্টাগ্রামে জ্যাসমিনের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে এই সুখবর শেয়ার করে নিলেন সিদ্ধার্থ। পোস্টটি তাঁর সমর্থক এবং সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারীদের কাছ থেকে ভালোবাসা এবং শুভকামনা পেয়েছে।
সিদ্ধার্থ মালিয়া একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বিয়ের সপ্তাহ শুরু হয়ে গিয়েছে’। সিদ্ধার্থের গায়ে সাদা রঙের স্যুট আর জেসমিন পরে আছেন ফ্লোরাল প্রিন্টের লং গাউন।
পোস্টটি দেখুন এখানে:-
আরও পড়ুন: চকচকে ছোট কালো পোশাক সোনাক্ষীর, গ্ল্যামারাস ব্যাচেলার পার্টি জাহিরের হবু বউয়ের
সিদ্ধার্থ মালিয়া গত বছরের নভেম্বরে শেয়ার করেছিলেন যে তিনি হ্যালোইন ২০২৩-এ জেসমিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। দুটি ছবিও শেয়ার করেছিলেন। একটিতে তাঁকে হাঁটু মুড়ে বসে ডাইনির সাজে থাকা (হ্যালোইন পার্টির সাজ) জেসমিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে জেসমিন তাঁর বিয়ের আংটি দেখাচ্ছেন। সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'চিরকালের জন্য আমার সঙ্গে বাঁধা পডে গেলে। ভালবাসি। হ্যাঁ বলার জন্য ধন্যবাদ'। প্রসঙ্গত, এক সময় দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল সিদ্ধার্থের। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
আরও পড়ুন: বিরল স্নায়ুর রোগ, শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়েছেন অলকা ইয়াগনিক! গায়িকার হৃদয়বিদারক পোস্ট
সিদ্ধার্থ মালিয়া একজন অভিনেতা এবং মডেল। তার বাবা বিজয় মালিয়া ইউবি গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণকারী সিদ্ধার্থ লন্ডন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠেন এবং ওয়েলিংটন কলেজ এবং লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তারপরে তিনি রয়্যাল সেন্ট্রাল স্কুল অফ স্পিচ অ্যান্ড ড্রামায় যোগ দেন এবং মডেল এবং অভিনেতা হিসাবে কাজ শুরু করেন।
যদিও বিজয় মালিয়া এখনও ‘পলাতক’। এক সময় মালিয়ার সংগ্রহে ছিল ২৫০টি ক্লাসিক গাড়ি, একটি ব্যক্তিগত বিমান, একটি কাস্টোমাইজ করা বোয়িং ৭২৭ বিমান, ইয়ট এবং ২০০টি ঘোড়া। আইপিএল-এর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) দল প্রথমে তিনিই কিনেছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি কিংফিশার এয়ারলাইন্স স্থাপন করেন। এর ঠিক ২ বছর পরে মালিয়া কিনে নিয়েছিলেন ভারতের প্রথম কম খরচের বিমান সংস্থা এয়ার ডেকান। তবে ২০১২ সাল নাগাদ মাত্রাতিরিক্ত ঋণের বোঝার কারণে বন্ধ হয়ে যায় কিংফিশার। দিতে পারেননি কর্মীদের মাইনেও। সরকার এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের থেকে বিজয় মালিয়া আর্থিক সাহায্য নিয়েছিলেন। সেগুলিও ফেরত দিতে ব্যর্থ হন মালিয়া। এরপর ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি বিজয় মালিয়াকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি বলে দাগিয়ে দেয়। ২০১৬ সালের ২ মার্চ মালিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক মামলা দায়ের করলে তিনি দেশ থেকে ফেরার হন।