'শেরশাহ' ছবি যে দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচক সবারই অকুন্ঠ তারিফ কুড়িয়েছে, সেকথা নতুন কিছু নয়। এমনকি এই ছবি যাঁর বায়োপিক সেই কার্গিল যুদ্ধের শহীদ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার পরিবারের তরফেও সাধুবাদ ভেসে এসেছে ছবির দুই মুখ্য অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং কিয়ারা আডবানির উদ্দেশে। বিশেষ করে বিক্রম বাত্রার বাবা গিরিধারী লাল বাত্রা এবং মা কমল কান্তা বাত্রার কথায়, 'খুব সুন্দর, দারুণ হয়েছে এই ছবি'।
বলাই বাহুল্য, পরমবীর চক্রে সম্মানিত কার্গিল যুদ্ধের এই শহীদের ভূমিকায় দর্শকদের সামনে পর্দায় হাজির হয়েছেন সিদ্ধার্থ এবং তাঁর প্রেমিকা ডিম্পল চিমার চরিত্রে মন করেছেন কিয়ারা। এক জাতীয়স্তরের সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়াকালীন কার্গিল শহীদের পরিবার জানিয়েছেন ছবিতে সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারার জুটির কাস্টিংয়ের ব্যাপারে তাঁদের প্রথম থেকেই মত ছিল। কথায় কথায় তাঁরা আরও জানিয়েছেন আজও প্রতি বছর নিয়ম করে তাঁদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি না 'শেরশাহ' এর প্রেমিকা ডিম্পল!
এই শহীদ ভারতীয় জওয়ানের বাবা-মা আরও জানিয়েছন যে প্রথম থেকেই তাঁদের বিক্রম এবং ডিম্পলের সম্পর্কে সহমত দিয়ে এসেছিলেন। 'ভুল পথে না গেলে কিংবা কোনও অন্যায় না করলে কোনওদিন কিছু করতে বিক্রমকে বাধা দিইনি। ডিম্পলের ব্যাপারে একেবারে শুরুতেই আমাদের জানিয়েছিল বিক্রম। পাশাপাশি ও বলেছিল ও তাঁকে বিয়ে করতে চায়। বিক্রমের সেই ইচ্ছের ব্যাপারে কোনওরকম দ্বিমত পোষণ করিনি আমরা। কারণ আমরা জানতাম পারিবারিক মূল্যবোধ থেকে সম্পর্কের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল ডিম্পল',বলেছেন 'শেরশাহ'-এর বাবা।
'প্রসঙ্গত, কার্গিল যুদ্ধ এক লহমায় পাল্টে দিয়েছিল ডিম্পলের ব্যক্তিগত জীবন। বিক্রম এবং ডিম্পলের চার হাত এক করার আগেই সেই যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন বিক্রম। তবে তারপরেও অন্য কোনও ব্যক্তিকে বিয়ে করেননি 'শেরশাহ'-এর ভালোবাসার মানুষ। ডিম্পলের পরিবার তো বটেই, এমনকি বিক্রমের পরিবারও পাখি পড়ার মতো ডিম্পলকে বুঝিয়েছিলেন বিয়ে করার ব্যাপারে। কিন্তু কোনোকিছুই তোলাতে পারেনি তাঁর সিদ্ধান্তকে। বাকি জীবনটুকু বিক্রমের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি আঁকড়ে ধরেই দিব্যি কাটিয়ে দিতে পারবেন বলে দৃঢ় গলায় জানিয়েছিলেন তিনি। আজও এত বছর পরেও সেই কথার নড়চড় হয়নি।