ভাইফোঁটা! বোনে আর ভাইয়ের জীবনের একটা স্পেশ্যাল দিন। কাজের ব্যস্ততা সামলে এই দিনটা বোনেদের সঙ্গে উদযাপনের সঙ্গে মুখিয়ে থাকেন সকলে। ব্যতিক্রম নন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ও। রুপোলি পর্দায় নায়ক বাস্তবে কিন্তু একজন দায়িত্ববান দাদা। আরজি কর কাণ্ডের জেরে মন ভালো নেই বাংলার। সেই কারণে এই বছর রাখিও সেলিব্রেট করেননি বিক্রম। আরও পড়ুন-'এবার দাদানকে ফোঁটা দিতে পারলাম না….', অন্য শহরে দীপ্সিতা, আরজি কর আবহে বাদ সেলিব্রেশন?
বোনের আবদার রেখে ঘরোয়াভাবেই ভাইফোঁটা সেলব্রেট করছেন ‘সূর্য’। অন্যের চোখে বিক্রমের বোন বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন, তবে বিক্রমের চোখে তাঁর বোন সত্যিই স্পেশ্যাল। সেটা তাঁর অনুভূতির কারণে। দাদা হিসাবে বোনকে নিয়ে গর্বিত তিনি। বোনের সহমর্মিতা, পশু-পাখিদের প্রতি টান বরাবরই বিক্রমকে মুগ্ধ করে। বয়সে ছোট হলেও বোনের থেকে অনেক কিছু শেখেন তিনি।
এই বছর ভাইফোঁটা বোনের হাতের রান্নায় জমজমাট। বড় হওয়ার পর থেকেই রান্না করতে ভালোবাসে বিক্রমের বোন। সেইমতোই আজ দাদার পছন্দের সব পদ রান্না করেছেসে। এই বছর ভাইফোঁটার দুপুরে বিক্রম ভুরিভোজ সারলেন বোনের হাতে তৈরি ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেনে। সঙ্গে বিক্রমের ফেভারিট সিমুইয়ের পায়েস তো মাস্ট!
সেলিব্রেশনের ফাঁকে বোনের সঙ্গে তোলা বেশকিছু ছবি ইনস্টাগ্রাম শেয়ার করেছেন বিক্রম। ভাগ করে নিয়েছেন ছেলেবেলার স্মৃতিও। এদিন লাল পাঞ্জাবিতে বাঙালি বাবুর বেশে ধরা দিলেন বিক্রম। নীল শাড়িতে ঝলমলে তাঁর সহোদর। এই মিষ্টি ফ্রেমে ভালোবাসা উজার করে দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী-সহ বিক্রমের ভক্তরা।
বোনকে সবসময় তাঁর পছন্দের উপহার দিতেই পছন্দ করেন বিক্রম। যেমনটা বোনের কাজে লাগবে। তাই আগেভাগে কিছুই ঠিক করে রাখেন না। দাদা হিসাবে বোনকে নিয়ে গর্বিত তিনি। বোনকে নিয়ে এইসময় ডিজিটালকে বিক্রম বলেন, ‘ও আমার বোন বলে বলছি না। যে মনুষ্যত্ব আজকাল খুঁজেই পাই না, যে সহানুভূতি মানুষ দেখান না, সেটা ওর মধ্যে অত্যন্ত বেশি। কুকুরদের খেতে দেওয়া থেকে বাড়ির ছাদে বসে থাকা, পাখিকে জল দেওয়া, সব বন্ধুর মতো করে। এটা দেখে মন ভরে যায়। আমি কেবল চাই ও এমনই থাকুক আজীবন।’
চলতি বছর বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে বিক্রমের পারিয়া। সূর্য-র ফলাফলও ভালো। আপতত বিক্রমের হাতে রয়েছে একগুচ্ছ কাজ। যার অন্যতম দুর্গাপুর জংশন', 'মেমোরি এক্স', 'অমর সঙ্গী', 'পারিয়া ২'-এর মতো ছবিগুলো।