করোনা সংকটে এমনিতেই নাভিঃশ্বাস ছুটছে দেশবাসীর। আতঙ্ক,দুশ্চিতা ঘিরেই রয়েছে সকলেই। এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রিয়জনদের থেকে এবং নিজের শহরের থেকে দূরে থাকাট বোধহয় আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। প্রায় আড়াই মাস মুম্বইয়ে আটকে ছিলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়,অবশেষে মঙ্গলবার তিলোত্তমায় পা দিলেন বিক্রম। কলকাতায় ফিরে বেশ খানিকটা স্বস্তিতে বিক্রম। তবে মুম্বই থেকে কলকাতায় ফেরার অভিজ্ঞতাটা এক্কেবারে অদ্ভূত।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে অভিনেতা জানান, ‘৮০ দিন পর কলকাতায় ফিরলাম…উফ দারুণ লাগছে। ভীষণ একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা।ভীষণ নার্ভাস।ঠিক এইভাবে জার্নিতে তো অভ্যস্ত নই। মাস্ক পরে, শিল্ড পরে ফ্লাইটে ফেরা।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সবরকম চেষ্টা করেছি। এত খালি এয়ারপোর্ট আমি কোনদিন দেখেনি,সেটা মুম্বই বিমানবন্দর হোক বা কলকাতা। তবে পরিবারে মাঝে ফিরতে পারলাম সেটাই ভালো ব্যাপার’।
১২ মার্চ একটি প্রজেক্টের কাজে মুম্বইে গিয়েছিলেন বিক্রম। সেখানে গিয়ে আটকে পড়েন অভিনেতা। লকডাউনের পুরো সময়টাই মুম্বইতেই কাটিয়েছেন তারকা। মায়ানগরীতে থেকেও যে তিলোত্তমার জন্য মন কাঁদছিল বিক্রমের তার হদিশ মিলেছে অভিনেতার ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে।
লকডাউনের সময় মুম্বইয়ে একার হাতেই সমস্ত কাজকর্ম সামলেছেন বিক্রম। বাসন মাজা থেকে রান্না করা সবটাই করতে হয়েছে নিজেকে। আর খালি সময়টা কাটিয়েছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নানা রকম সিরিজ আর সিনেমা দেখে। শুধু তাই নয় লকডাউনে একটি শর্ট ফিল্মেও অভিনয় করেছেন বিক্রম, ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’।দুই বাংলার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই স্বপ্লদৈর্ঘ্যের ছবিতে সৃজিত ঘরনি মিথিলার সঙ্গে দেখা গিয়েছে বিক্রমকে।