সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর, কপালে টিপ, হাতে শাঁখাপলা সহ ভর্তি চুড়ি, হাতভর্তি মেহেন্দি। ১৯মার্চ, বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ইনস্টাগ্রাম লাইভে এই লুকেই ধরা দিলেন ভাইরাল ভাইরাল দিদি নন্দিনী। তাঁকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে এক্কেবারে নববধূর লুক। সকলেরই একটাই প্রশ্ন, বিয়েটা কবে হল?
নন্দিনী লাইভে জানালেন, ‘এই তো হল, তাড়াহুড়ো করেই হল। অনেকেই যাঁরা আমাকে চেনেন, জানেন যে আমি দীর্ঘদিন ধরেই একটা সম্পর্কে ছিলাম। আর ফাইনালি একটা সোশ্যাল ম্যারেজে আমি আবদ্ধ হলাম। বলতে একটা কেমন লাগে….।’
নন্দিনী বলেন, ‘দোলের দিন যেদিন সকলে রং খেলছিলেন, আমি সেদিন সিঁদুর খেলেছি। সেদিনই এতদিন ধরে ওয়েট করা দিনটা আমার লাইফে এসেছে। ধন্যবাদ তাঁদের সকলকে যাঁরা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন। আরও অনেকেই চাইত, বলত বিয়ে করো দিদি, কবে বিয়ে করবে!’ লাইভে পরিচিত নেটিজেনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেও দেখা যায় তাঁকে।
নন্দিনী বলেন, এদিনই তিনি শ্যামসুন্দরী মায়ের মন্দিরে গিয়েছিলেন। এদিন শ্যামসুন্দরী মায়ের নতুন মন্দির, স্থানান্তকরণ নিয়েও ভিডিয়োতে কথা বলেছেন নন্দিনী। তিনি বলেন, খুবশীঘ্রই, কলকাতা জীবন্তকালী শ্যামসুন্দরী রানি বলে খুব শীঘ্রই গুগল ম্যাপে দেখা যাবে, তবে তার আগে আমি বলি, মুকুন্দপুরের অভিদীপ্তা অ্যাপার্টমেন্টের পাশের গলি দিয়ে দিয়ে বাঁ হাতে পড়বে। আরও ভালো করে বললে হেলথ সেন্তার ও পূর্ব যাদবপুর থানার মাঝখানে।
এদিকে এদিন নন্দিনী দিদিকে অনেকেই নববিবাহিত জীবনের শুভেচ্ছা দিতে থাকেন। কেউ লেখেন, ‘ভীষণ সুন্দর লাগছে বিবাহিত জীবন তোমার অনেক ভালো কাটুক আমার মিষ্টি বুনু, অনেক ভালো থেকো তুমি’। কেউ লেখেন, ‘তোমার বিবাহিত জীবন সুখে কাটুক’। এমনই নানান শুভেচ্ছা বার্তা উঠে আসে। কেউ আবার প্রশ্ন করেন, ‘তোমার কবে বিয়ে হলো?’
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন নেটদুনিয়ার সেনসেশন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁকে গোটা বাংলা চেনে 'নন্দিনী দিদি' নামে। ডালহৌসির ফুটপাতে পাইস হোটেল চালানো এই দিদিএখন সোশ্যাল মিডিয়া স্টার, আবার বহু পুরুষের ক্রাশ।
প্রসঙ্গত, রুদ্র দাসের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা ২০২৩-এর শেষেই সামনে এনেছিলেন নন্দিনী। গত বছরের শুরুতেই নন্দিনী দিদি জানান সই-সাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেছেন তাঁরা। সেসময়ই জানিয়েছিলেন, তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। তবে বাপের বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে তাঁর। নন্দিনীর বরের নাম রুদ্র দাস। তবে নন্দিনীর কথা মতো, আগে আইনি বিয়ে হলেও হোলির দিনই তাঁর সামাজিক বিয়ে হয়েছে।