দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের সম্পর্ক, বাগদান ও আইনি বিয়েও সেরেছিলেন আগেই। তবে ২০২৩-এর শেষে রুদ্র দাসের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা সামনে আনেন নন্দিনী। তবে চলতি বছরে দোলের দিন শুভকাজ অর্থাৎ সামাজিক বিয়ে সেরে ফেলেছেন ডালহৌসির পাইস হোটেলের মালিক, ভাইরাল নন্দিনী। সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর, কপালে টিপ, ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক, এভাবেই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে সামনে আসেন সদ্য বিবাহিতা নন্দিনী। আর তারপরই জানান বিয়ের খবর। ধীরে ধীরে সামনে আসে তাঁর বিয়ের ছবি থেকে ভিডিয়ো।
২৬ মার্চ, বুধবার নন্দিনী দিদির ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে উঠে এল তাঁর ও রুদ্রদাসের প্রেম জীবনের সেকাল ও একালের ছবি। তাঁদের সম্পর্ক বহু পুরনো। তাঁরা যখন প্রেমে পড়েছিলেন, তাঁদের বয়স ছিল কম, দীর্ঘ বেশ কয়েকবছর ধরে সম্পর্কে থেকে সম্প্রতি পরিণত বয়সে এসে সাতপাক ঘোরেন এই দম্পতি। বুধবার তাঁদের প্রেমের সেই সেকাল ও একাল পাশাপাশি রেখে Then and Now করে পোস্ট করেছেন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়। অল্প বয়সে কেমন দেখতে ছিল তাঁদের?

প্রসঙ্গত, গত বছরের শুরুতেই সই-সাবুদ করে রুদ্র দাসে বিয়েটা সারার পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন নন্দিনী। তবে বাপের বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল তাঁর। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে তাঁদের সামাজিক বিয়ের নানান মুহূর্ত। গায়ে হলুদ থেকে বিয়ে, সব মুহূর্তই দেখা গিয়েছে সেখানে।
শুধু তাই নয়, নিজের বিয়ের দিনও হোটেল সামলানোর দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাননি নন্দিনী। বিয়ের দিন খুব ভোরে উঠে নিজের নিউটাউনের সি ব্লকে পাইস হোটেলে রান্না সেরে তবেই বিয়ে করতে যান নন্দিনী। হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন। তাঁর কথায়, সেদিন শুধু চিকেন ছাড়া, বাকি সব পদই রান্না তিনিই করেছেন। এমনকি দোকানে কাস্টমারদের পার্সেলও করতে দেখা যায় তাঁকে। তারপর গাড়ি করে পৌঁছে যান নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানে।
নন্দিনী দিদির বিয়ের দিন সকালের মেনুতে ছিল, ভাত-ডাল, ঝুরি আলুভাজা, কাতলা মাঝের কালিয়া, চিকেন কষা, আর ছিল চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। আর রাতের মেনুতে ছিল লুচি, ছোলার ডাল, ফিস কবিরাজি, জিরা রাইস, চিকেন কষা, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি সহ আরও বেশকিছু পদ।