বাগদান ও আইনি বিয়ে সেরেছিলেন আগেই। তবে সদ্য সামাজিক বিয়ে সেরেছেন ভাইরাল 'নন্দিনীদিদি'। দোলের দিনই নাকি ছিল তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠান। কিছুদিন আগেই ফেসবুক লাইভে এসে নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘দোলের দিন যেদিন সকলে রং খেলছিলেন, আমি সেদিন সিঁদুর খেলেছি। সেদিনই এতদিন ধরে ওয়েট করা দিনটা আমার লাইফে এসেছে।'
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় উঠে এসেছে স্মার্ট দিদি নন্দিনীর সিঁদুর দানের ভিডিয়ো। তিথি দাস নামক এক ব্লগার নন্দিনী দিদির বিয়ের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনেন। আর এবার তিনিই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের ভিডিয়োও সামনে আনলেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের দিন সক্কাল সক্কাল গায়ে হলুদ ও বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য গাড়ি করে অনুষ্ঠানস্থলে যাচ্ছেন নন্দিনী। তবে তাঁর পৌঁছনোর আগেই বিদ্ধিতে বসে পড়েছিলেন তাঁর হবু বর রুদ্র দাস।
এরপর অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে ফটোশ্যুট করে নেন সোশ্যল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তবে সেখানেও তাঁদের দেখতে পেয়ে রাস্তা আটকে সেলফি তুলতে ছাড়েননি নন্দিনী দিদির অনুরাগীরা। এরপর প্রথা মেনে হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। বউমার মুখে ফেসিয়ালের মতো করে হলুদ ঘষতে দেখা যায় নন্দিনীর শাশুড়ি মাকে। এরপর হবু বরকনেকেও একসঙ্গে হলুদে মাখামাখি হতে দেখা যাচ্ছে।
এদিন সকালের অনুষ্ঠানে অতিথিদের খাবার পরিবেশন করতে দেখা গেল নন্দিনীর ননদকে। এদিন সকালের মেনুতে ছিল, ভাত-ডাল, ঝুরি আলুভাজা, কাতলা মাঝের কালিয়া, চিকেন কষা, আর ছিল চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি।
এদিকে আবার বিয়ের দিন খুব ভোরে উঠে নিজের নিউটাউনের সি ব্লকে পাইস হোটেলে রান্না সেরে তবেই বিয়ে করতে যান নন্দিনী। লাল শাড়ি পরে সেজেগুজে বিশাল কড়াইতে কুমড়ো ভাজতে দেখা যায় তাঁকে। শুধু কুমড়োই নয়, এদিনও নিজের হোটেলে একাধিক রান্না সেরে তবেই বিয়ে করতে যান এই ভাইরাল দিদি। তাঁর কথায়, শুধু চিকেন ছাড়া, বাকি সব রান্না তিনিই করেছেন। এমনকি দোকানে কাস্টমারদের পার্সেলও করতে দেখা গেল তাঁকে। কাজ সেরে রওনা হন বিয়ে করতে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-এর শেষেই রুদ্র দাসের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা সামনে এনেছিলেন নন্দিনী। গত বছরের শুরুতেই তিনি সই-সাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন। তখনই জানিয়েছিলেন, তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। তবে বাপের বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে তাঁর। তবে আইনি বিয়ে আগে হয়ে গেলেও হোলির দিনই তাঁর সামাজিক বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।