আজকাল তারকাদের থেকে জনপ্রিয়তা কোনো অংশে কম নয় পরোটা বিক্রি করা রাজুদা, কিংবা ফুটপাথের ধারে ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনীর। এমনকী, তাঁদের ভিডিয়ো বানিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে হাজার হাজার টাকা কামাচ্ছেনকিছু ফুড ভ্লগার। আর পান থেকে চুন খসলেই কেলো। নিমেষে ভাইরাল তাঁরা। অবশ্য কখনো কখনো আবার তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, এই ভাইরাল যত হওয়া যাবে, তাঁদের বানানো খাবারের জনপ্রিয়তাও তত বাড়বে। দূর-দূর থেকে খেতে আসবে মানুষও।
সম্প্রতি এমনই একটা ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক গ্রাহককে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছেন নন্দিনীর বাবা। রীতিমতো চিৎকার করছেন, ‘এটার ভাড়া ৭০ হাজার। বুঝলে? তুমি কোথায় আছ? তুমি কি চাও ৩০ টাকা করে সবজি ভাত বিক্রি করব? তুমি যাও।’
আর একসময় এই ৩০ টাকার সবজি ভাতই ছিল এই নন্দিনী ইউএসপি। সেই সময় বেশ জোরালো গলায় দাবিও করেছিলেন তিনি যে, যতদিন এই খাবারের ব্যবসাটা করবেন, ততদিন এই ৩০ টাকার থালি পাওয়া যাবে তাঁর দোকানে।
তা কি পাওয়া যায় নন্দিনীর দোকানের ১০০ টাকার থালিতে? ভাত, পাপড় ভাজা, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা, ২রকমের তরকারি, লেবু। এই খাবার খেতে চাইলে নন্দিনীর নিউ টাউনের রেস্তোরাঁয় আপনাকে ওই ১০০ টাকাই দিতে হবে। চিকেন নিলে আরও ১০০ টাকা, মটন নিলে আরও ২০০ টাকা অতিরিক্ত। পোলাও ও ফ্রায়েডরাইসের দামও যথাক্রমে ১০০-১৫০ টাকা পড়বে জানিয়েছেন নন্দিনীর বাবা।
গত বছরের শেষেই নন্দিনীর এসি রেস্তোরাঁটি খুলেছেন আকাঙ্খা মোড়ে। এনকেডিএ কমিউনিটি হলের উলটো দিকে। এমন লোকেশনে হোটেল তিন বছরের জন্য ভাড়ায় নিয়েছেন নন্দিনী। তার জন্য কত টাকা অ্যাডভান্স দিতে হয়েছে জানেন? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর বাবা। সঙ্গেতাঁর দাবি ছিল, রেস্তোরাঁ সাজাতেও লক্ষাধিক টাকা খসেছে পকেট থেকে। এর আগে একবার নন্দিনীর বাবার দাবি ছিল, তাঁর ভাড়া নেওয়া এই দোকানটির জন্য দিতে হয় মাসে ৫০ হাজার। আর এবার তিনি বলে বসলেন ৭০। যা নিয়ে ট্রোলও হলেন।
সেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়ার ভিডিয়োতে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘আমাদের দোকানে ৩০ টাকায় সব্জি ভাত বিক্রি হয়। এসে খেয়ে যান দাদু। পেট ভোরে যাবে।’ আরেকজন লেখেন, ‘মাসে ৭০ হাজার হতে পারে। মিথ্যে কথা সারাদিন।’ তৃতীয়জন আবার লিখলেন, ‘এই ৩০ টাকার সবজি ভাত বিক্রি করে, আজ ৭০ হাজার ভাড়া হোটেল খুলেছো। বয়স হয়ে গেছে, মানুষের সাথে একটু ভালোভাবে কথা বলা শেখো। তাতে তোমার হোটেলই ভালো চলবে। এত অহংকার ভালো না।’