জীবনের ৪৬টা বছর যে মানুষটার সঙ্গে কাটিয়েছেন, তাঁর চলে যাওয়ার ধাক্কাটা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি নীতু কাপুর। তবুও দুই সন্তানকে আঁকড়ে নিজের মতো করে জীবনটা গুছিয়ে নেওয়ার লড়াই জারি রেখেছেন। দেখতে দেখতে ঋষিহীন ১১ মাস অতিক্রান্ত। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রথমবার জাতীয় টেলিভিশনের পর্দায় হাজির রণবীর-রিদ্ধিমার মা। চলতি সপ্তাহে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে হাজির হয়েছেন অভিনেত্রী।
ঋষি কাপুর চলে গিয়েছেন, তবে ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান ভোলবার নয়। ৪৫ বছরের বন্ধুত্ব ঋষি কাপুর এবং জিতেন্দ্র ও পরিচালক রাকেশ রোশনের। ঋষি কাপুরকে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে টিম ইন্ডিয়ান আইডল এদিন মঞ্চস্থ করে জিতেন্দ্র ও রাকেশের ভিডিয়ো বার্তা। যা দেখে আবেগঘন হয়ে যান নীতু। বাধ মানেনি তাঁর চোখের জল। প্রাণবন্ত ঋষি কাপুরকে স্মৃতিচারণায় রাকেশ রোশন বলেন, ‘ঋষি খুব খোলা মনের মানুষ ছিল। আমাদের ৪৫ বছরের বন্ধুত্ব… আজও ওর অভাব খুব বেশি অনুভব করি। সত্যি বলতে ও প্রকৃত অর্থে গোটা দেশের আইডল, খুব মিস করি ওকে’।
কীভাবে ঋষি কাপুর নীতুর প্রেমে পড়বার অনুভূতিটা উপলব্ধি করেছিলেন, সেকথা বলতে গিয়ে ঝরঝর করে নীতুর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। দু-জন দুটো আলাদা শহরে শ্যুটিং সারছিলেন, যখন টেলিগ্রাম করে ঋষি, নীতুকে জানান- ‘শিখনি তোমার কথা বড্ড মনে পড়ছে’।
জিতেন্দ্র তাঁর পুরোনো বন্ধুর কথা বলতে গিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন নীতুকে। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ঋষির যেভাব সঙ্গ দিয়েছেন নীতু, তা খুব কম স্ত্রী বা সঙ্গী দিতে পারে, জানান জিতেন্দ্র। এদিন নীতুর হাল না ছাড়ার মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁকে একজন আদর্শ স্ত্রীর খেতাব দেন জিতেন্দ্র।
আবেগঘন নীতু কাপুর বলেন, ‘আমি আজ ঋষিকে সেলিব্রেট করতে এসেছি, কিন্তু এই ভিডিয়ো দেখে, ঋষির প্রতি এত ভালোবাসা দেখে আমার কিংবদন্তী বন্ধুদের কাছ থেকে আমি সত্যি নিজের আবেগ সামলাতে পারছি না’।