সিরিয়ালে গল্পের গরু গাছে ওঠে সেটা কারুর অজানা নয়। তবে মাঝেমধ্যে সিরিয়ালে এমন কিছু দৃশ্য বা সংলাপ দেখানো হয় যা দেখে হাসি আটকানো মুশকিল। বাংলা সিরিয়ালের নানান দৃশ্য নিয়ে সময়ে সময়ে ট্রোলিংও হয়েছে। কখনও উড়ন্ত সিঁদুর কখনও বা উড়ন্ত মালায় বিয়ে হোক কিংবা বাথরুম স্ক্রাবার দিয়ে হৃদরোগে আক্রান্তের চিকিৎসা- সবই দেখেছে দর্শক। আসলে টিআরপি বাড়ানোর চক্করে অনেক সময়ই প্রত্যেকটা বিষয়কে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হচ্ছে, যা শেষমেষ গাঁজাখুরি গল্পে পরিণত হচ্ছে। এবার ট্রোলের মুখে পড়ল মাধবীলতা। প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে মাধবীলতা পড়াশোনাতে তুখোড়,তাঁর জ্ঞানের শেষ নেই। তবে মাধবীলতার ‘জ্ঞানের হদিশ’ দিতে গিয়ে নির্মাতারা এমন কাণ্ড করলেন যা দেখে হাসি থামছে না নেটিজেনদের।
এক এপিসোডে ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ নিয়ে শ্বশুরমশাইয়ের ক্লাস নিচ্ছিল মাধবী। সেখানে স্টিভেন হকিং-এর নাম বলে সবুজকে চমকে দেয় মাধবীলতা। কেন গাছ লাগানোর, গাছ বাঁচানোর দরকার তা গড়গড়িয়ে বলতে থাকে মাধবীলতা। সবুজের প্রশ্নের মুখে পড়ে নায়িকা বলেন, ‘কেন? আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মায়েছি বলে কি অশিক্ষিত? আমি পদার্থ বিদ্যায় ১০০-র মধ্যে ৯৮ পেয়েছি। আর ওই দু-নম্বর পাইনি কেন জানেন? যে কলমটা দিয়ে আমি পরীক্ষায় লিখছিলাম সেই কলমটার কালি ফুরিয়ে গিয়েছিল। একটার বেশি দুটো কলম কেনবার পয়সা ছিল না। তাই শেষ প্রশ্নটার উত্তর আমি লিখতে পারি নাই। আমার জানা প্রশ্ন ছিল, তবু পারি নাই। আমি সবার থেকে কলমটা চায়েছি কিন্তু কেউ দেয় নাই’।
মাধবীলতার ‘কষ্ট’ দেখে হাসি থামছে না নেটপাড়ার। এই ভিডিয়ো নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি। কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘নিউটনের নাতনি’। অপর একজন লেখেন, ‘নিউটনের আপেল সোজা মাধবীর খাতার পাতায় পড়েছিল’। এক নেটিজেন মজার ছলে লেখেন- ‘কী আর করলাম জীবনে, মাধবীর দুঃখের কথা শুনে হালকা করে মরে গেলাম’। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘অতিরিক্ত গাঁজা খেয়ে স্ক্রিপ্ট লিখলে যা হয় আর কী’।
স্টার জলসার পর্দায় গত ২২শে অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে মাধবীলতা। নাম ভূমিকায় রয়েছেন শ্রাবণী ভুঁইয়া। নায়কের চরিত্রে রয়েছেন সুস্মিত মুখোপাধ্যায়। আদিবাসী মেয়ের গাছ বাঁচানোর লড়াই নিয়ে এই ধারাবাহিক। ইতিমধ্যেই টিআরপি তালিকাতে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে এই মেগা। তাই ট্রোলিং সঙ্গে থাকলেও ‘মাধবীলতা’র জনপ্রিয়তা নিয়ে কিন্ত কোনও দ্বিমত নেই।