কদিন আগেই জনপ্রিয় কমিল শর্মা-র শো-তে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে মস্করা করায়, খচে লাল হয় বাঙালি। শুধু তাই নয়, কবি শ্রীজাতর পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানানো হয় যেভাবে ক্রুষ্ণা অভিষেক ‘একলা চলো রে’ নিয়ে ইয়ার্কি-ঠাট্টা করেচেন, তাতে তিনি প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নেবেন।
এরপরই আরও একটা ভিডিয়ো পড়ল কঠোর সমালোচনায়। যা সুপারস্টার সিঙ্গার ৩-এর কোনো একটি এপিসোডের একটি মুহূর্ত। সেখানে দেখা যায় বাঙালির উলু নিয়ে নিজেদের মধ্যেই মস্করায় মজেছেন অনু মালিক ও নেহা কক্কর। এরপর তাঁরা সেটে উপস্থিত বাদবাকি সকলকে উলু দিতে অনুরোধ করেন। যেমন অলকা ইয়াগনিক, হিমেশ রেশেমিয়া। আর প্রতিবারই এক-একজন করে উলু দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হতেই, হেসে গড়িয়ে পড়ছিলেন সকলে।
আরও পড়ুন: ‘রক্তপিপাসু শিল্পী’! মঞ্চে মুরগিকে হত্যা, তারপর রক্তপান! বিতর্কে অরুণাচলের গায়ক, দায়ের এফআইআর
নেটিজেনদের অনেকেই এই ভিডিয়ো নিয়ে নিজেদের বিরক্তি জাহির করেছেন। নিসন্দেহে এর সিংহভাগই বাঙালি। একজন মন্তব্য করেন, ‘এটা আমাদের সংস্কৃতি। আর এটা কখনোই উডু উডু নয়। এটাকে বলা হয় উলুধ্বনি’। আরেকজন লেখেন, ‘যদি বাঙালিদের সম্মান করতে না পরেন, তাহলে অন্ততপক্ষে ছোট করার চেষ্টা করবেন না’। তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘এটা শুরুই করেছে নেহা আর অনু মালিক। দুটোই ফালতু। ফুটেজখোর।’ চতুর্থজন লেখেন, ‘এটা বাঙালির সংস্কৃতি। এরা হাসিঠাট্টা করছে। এরা নাকি শিক্ষিত! এরা নাকি শিল্পী!’
আরও পড়ুন: এতদিন পাপারাৎজিদের বকা দিত জেহ-তৈমুর! এবার করিনাও এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে…
দেখুন সেই বিতর্কিত ভিডিয়ো-
শুধু বাঙালি নয়, উলুধ্বনি হল বাংলা, অসম, ওড়িশা, কেরালা, তামিলনাডুর একটি সামাজিক প্রথা। বিয়ে, অন্নপ্রাসন, জন্মদিন, আশীর্বাদ বা যে কোনো শুভ উৎসবে মহিলারা মুখে 'উলুলুলুলু' ধ্বনি উচ্চারণ করেন। এটিকে সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। আবার মনে করা হয়, উলুধ্বনির মাধ্যমে দেবতাগনকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব।
বলে রাখা ভালো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিষয়টা মূলত সামনে আনেন শ্রীজাতই। আর তখন নেটিজেনরা এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। যা নিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন ক্রুষ্ণা অভিষেকও। তিনি বলেন, কাওকে মনে আঘাত দেওয়ার জন্য তা করা হয়নি। এমনকী, এই নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও তিনি জানান সংবাদমাধ্যমকে। যদিও নেটফ্লিক্স বা কপিল শর্মা নিজে এই নিয়ে কোনো কথা বলেননি।