গোটা বাংলার মানুষ নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে, যেভাবে তারা প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছেন, তাতে উদ্যম পেয়েছে গোটা বাংলা। সাধারণ মানুষ, যেভাবে পারছেন এগিয়ে আসছেন। কেউ কেউ তো বাড়ির রান্না করা খাবারও নিয়ে আসছেন। ডাক্তারদের কী চাই, পোস্টের অপেক্ষায় মুখিয়ে সকলে। দেখতে পেলেই তা পূরণ হচ্ছে, আধা ঘণ্টা-চল্লিশ মিনিটে।
এরই মাঝে এক দম্পতির ভিডিয়ো ভাইরাল। দেখা যাচ্ছে, ভোর রাতে দুজনে স্কুটি চালিয়ে হাজির হন সল্টলেকে। সেই কেষ্টপুর থেকে চা বানিয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা। যাতে সকালে ঘুম থেকে উঠেই গরম গরম চায়ে চুমুক দিতে পারে, আন্দোলনে রাত রাস্তায় কাটানো ছেলেমেয়েগুলো।
রোজ ৫টাক মধ্যে চলে আসেন। ভাবছেন তাহলে ঘুম থেকে ওঠেন কটায়? বউদি জানালেন, রাত ৩টেয় উঠে পড়েন। যখন প্রশ্ন করা হয়, আরেকটু বেশি ঘুমোতে ইচ্ছে করে না! তাতে জবাব এল, সবাই রাত জাগছে। তাই তাঁরও ইচ্ছে হয় না ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করবেন।
আরও পড়ুন: ভালোবাসায় মোড়া হৃদয়! চমকে দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে অদিতি-সিদ্ধার্থ, সাজে অপরূপ বর-কনে
দাদা জানান, তিনি মেডিকেল লাইনের লোক। অক্সিজেন, আয়া নার্স দেন। মানুষের পাশে থাকা নিজের কর্তব্য মনে করেন। আর বউদি আসেন, তিলোত্তমার জন্য আন্দোলনে ভাগিদার হতে। শুধু তাই নয়, বিকেলেও আসেন দুজনে। তবে তখন চা নিয়ে নয়, এসে সঙ্গ দেন আন্দোলনকারীদের। গায়িকা লগ্নজিতা এই ভিডিয়োখানা শেয়ার করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে।
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে মুখ খোলায় কুণাল-দেবাংশুর যৌথ আক্রমণ টলি অভিনেত্রীকে! একজন বানাল বৌমা,অন্য জন ‘দজ্জাল’
এক নেট-নাগরিক মন্তব্য করেন, ‘এত অবক্ষয়ের মাঝেও আশা ভরসার ঝিলিক। তোমাদের অনেক অনেক ভালোবাসা’। আরেকজন লিখলেন, ‘তোমাদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল। ভালো থেকো।’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘দুজনকেই প্রণাম’।
আরও পড়ুন: বিয়ের আংটি খোলা, মেয়ে নিয়ে বচ্চন বধূ ছেড়েছেন দেশ! কোথায় দেখা গেল ঐশ্বর্য-অভিষেক
প্রসঙ্গত, সোমবার কালীঘাট যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ বিকেল পাঁচটায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে বসছে বৈঠক। সরকারের তরফেই প্রথম প্রস্তাব আসে তাঁদের কাছে। তবে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনো ভিডিয়ো করতে দেওয়া হবে না। হবে না লাইভ স্ট্রিমিংও। তবে মিটিংয়ের সারবস্তা থাকবে দু পক্ষের কাছে। আর তাতে দু পক্ষই সই করবে। দেখার যে ৫ দফা দাবি জুনিয়র ডাক্তাররা রেখেছেন, তা মিটিয়ে কাজে ফেরেন কি না তাঁরা। আজই শেষ হয় নাকি স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না।