এই মুহূর্তে মুম্বইতেই রয়েছে বিরাট কোহলি-অনুষ্কা শর্মা। বৃহস্পতিবার তাঁরা শহরেরই এক ক্যাফেতে গিয়েছিলেন। আর সেখানে গিয়েই ক্যাফে স্টাফদের সঙ্গে ছবি তোলেন বিরাট-অনুষ্কা। যদিও বিরাট-অনুষ্কা নিজেরা সেই ছবি পোস্ট করেননি। ক্যাফে স্টাফেদের মধ্যেই কেউ একজন এই ছবি পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। তবে সেই ছবিগুলির মধ্যেই একটি নেটদুনিয়ার হাসির খোরাক হয়ে যায়। যা দেখে না হেসে পারছেন না নেটিজেনরা। কিন্তু কী এমন রয়েছে সেই ছবিতে?
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রার ক্যাফে বেনের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে বিরাট ও অনুষ্কার ছবিগুলি পোস্ট করা হয়েছে। সেই ছবিগুলিতেই ক্যাফে স্টাফদের সঙ্গে দেখা যায় বিরাট-অনুষ্কাকে। অভিনেত্রীর পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট, খাকি প্যান্ট, তাঁর গায়ে চাপানো ছিল কালো একটা জ্যাকেট। অন্যদিকে, বিরাট কোহলিকে সাদা শার্ট ও টুপিতে অনুষ্কার ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-দাদাগিরি ২ বিজয়ী অভিনেতার মৃত্যু, ৩৫-এই চলে গেলেন নীতিন, ঠিক কী ঘটেছিল?
একটা ছবিতে ক্যাফের এক কর্মীর টুপিতে বিরাট-অনুষ্কাকে অটোগ্রাফ দিতেও দেখা গিয়েছে। আরেকটাতে 'বিরুষ্কা' দম্পতির খাবারের বিলও দেখা গিয়েছে। তবে চতুর্থ ছবিটির মাঝে সমস্ত ক্য়াফে স্টাফদের সঙ্গে আরও একজন স্টাফের ছবি ফটোশপ করে বসানো হয়েছে। সেই ছবির উপরে লেখা, ‘যেদিন তুমি স্কুল মিস করেছিলেন। দীনেশ আসলে খুব দুঃখ পেয়েছেন, কারণ তিনি সেদিন শিফটে ছিলেন না। তাই ফটোশপ করে ওঁর ছবি আমরা জুড়ে দিলাম।’ সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ডঃ রাজকুমারের একটি জনপ্রিয় কন্নড় গান ‘ইফ ইউ কাম টুডে’।
আর এই ফটোশপ করা ছবির কারণেই বেশ মজা পেয়েছেন নেটিজেনরা। একজন মজা করে লিখেছেন, ‘দীনেশ হল সেই শিশু, যে মাঝে মধ্যেই স্কুলে ডুব মারে, আর সেইদিনই স্কুলে ভালো কিছু ঘটে।’ কেউ মজা করে লিখেছেন, ‘দীনেশের জন্য একদিন পুনর্দশনের ব্যবস্থা করা হোক।’ কারোর মন্তব্য, ‘আমি দীনেশের জন্য খুবই দুঃখ পেলাম।’
দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর বহুদিন লন্ডনেই ছিলেন বিরাট-অনুষ্কা। তবে তাঁরা আপাতত এদেশেই রয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বইতে নিজের পরিবারের সঙ্গে জন্মদিন পালনও করেন বিরাট।
অন্যদিকে বহুদিন অভিনয় দুনিয়া থেকে দূরেই রয়েছেন অনুষ্কা শর্মা। তাঁকে শেষবার ২০১৮ সালে 'জিরো'তে দেখা গিয়েছিল। তবে তারপর থেকে আর কাজ করেননি। তবে খুব শীঘ্রই ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিক ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এ দেখা যাবে অনুষ্কা শর্মাকে। যে ছবির কাজ অভিনেত্রী ২০২২ সালেই শেষ করেছিলেন।