যদি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর উপর হওয়া ট্রোল ভুল ছিল তাহলে একই ভাবে সেটা পাঠানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ‘পাঠান’ নিয়ে এখন যে ট্রোল, বা বয়কট ট্রেন্ড চলছে সেটাও ভুল। দুটো ছবিকে এক আসনে বসিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন পরিচালক অশোক পণ্ডিত। আর সেই টুইট শেয়ার করলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী স্বয়ং।
অশোক পণ্ডিত টুইটারে এই বিষয়ে লেখেন, 'যদি বিবেক অগ্নিহোত্রীকে ট্রোল করা বা খারাপ কথা বলা যুক্তিযুক্ত এবং সঠিক হয়ে থাকে এবং সেই ঘটনায় গোটা ইন্ডাস্ট্রি চুপ থাকে তাহলে পাঠানের বিরুদ্ধে হওয়া ট্রোল, বা ব্যঙ্গাত্মক কথাও যুক্তিযুক্ত এবং সঠিক। আর যদি দ্য কাশ্মীর ফাইলসের উপর হওয়া আঘাত ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেই একই কথা পাঠানের জন্যও প্রযোজ্য। আমাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমরা যেন সিলেকটিভ না হয়ে যাই।'
তিনি আরও লেখেন, ‘ আমাদের নীরবতা কিছু ক্ষেত্রে আমাদের শত্রুদের শক্তিশালী করে তোলে। আমি বরাবর সমস্ত ধরনের ছবির পাশে দাঁড়িয়েছি সে 'উড়তা পাঞ্জাব' হোক বা ‘পদ্মাবৎ’, যেখানে ছবি নিয়ে খারাপ কথা বলা হবে, অথচ ইন্ডাস্ট্রির তরফে কেউ সেটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে না আমি থাকব সেই সব ছবির পাশে।' এই টুইটটা শেয়ার করে বিবেক লেখেন, 'হুমম।'
বর্তমানে পাঠান ছবিটিকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে আর তার মূলে আছে এই ছবির ‘বেশরম রং’ গানটি। যবে থেকে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে তবে থেকেই এই ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সে রাজনৈতিক নেতারা হন, বা কোনও ধর্মীয় বোর্ড অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন এই ছবিটিকে নিয়ে। তাঁদের কারও ছবির নাম পছন্দ হয়নি, কারও আবার গানটিতে দীপিকার পোশাক আর তার রং পছন্দ হয়নি।
ইজরায়েলি পরিচালক যখন গতমাসে বিবেকের দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবিটিকে প্রোপাগান্ডা ছবি হিসেবে দেগে দিয়েছিলেন ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তখন অশোক পণ্ডিতই তার বিরোধিতা করেছিলেন। এবার তিনি পাঠানের এই সমস্যায় মুখ খুললেন তিনি।
দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবিটিতে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরের পণ্ডিতদের উপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল সেটাকে তুলে ধরা হয়েছিল। এই ছবিতে অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লবী যোশী, প্রমুখকে দেখা গিয়েছিল।