এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ২০২২ সালের ১১ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল বিবেক আগ্নিহোত্রী পরিচালিত ছবি। বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছিল এই ছবি। পরিচালক বিবেক টুইট করে জানিয়েছেন, আগামী ১৯ জানুয়ারি ফের একবার সিনেমাহলে মুক্তি পাবে এই ছবি।
টুইটে বিবেক আগ্নিহোত্রী লেখেন, 'ঘোষণা- আগামী ১৯ জানুয়ারি ফের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার দিবস। এটাই প্রথমবার যেখানে কোনও ছবি পর-পর দু বছরে দুবার মুক্তি পাচ্ছে। যাঁরা এখনও বড় পর্দায় ছবিটি দেখেননি, তাঁরা এখনই টিকিট বুকিং করুন।'
পরিচালকের দাবি, ইতিহাসে প্রথম এক বছরের ব্যবধানের মধ্যে দু’বার মুক্তি পেতে চলেছে কোনও সিনেমা। হিন্দু কাশ্মীরিদের গণহত্যার দিনই ফের প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের জন্য মুক্তি পাবে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'। প্রসঙ্গত, ৩৩ বছর আগে ১৯ জানুয়ারি ঘরছাড়া হয়েছিলেন হাজার হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত। সেই দিনটি প্রত্যেক দেশবাসীকে মনে করিয়ে, তাঁদের সম্মান জানাতেই ফের প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’।
নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি হিন্দুদের গণহত্যার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত এই ছবি। অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার এবং পল্লবী জোশী প্রমুখ। আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দেহ, প্রয়াত ‘একেনবাবু’ চরিত্রের স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত
মুক্তির পর থেকেই এই ছবি ঘিরে দেশজুড়ে চর্চা। কেউ ঘৃণা বোধ করেছেন, কেউ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বির্তক কিছুতেই এই ছবির পিছু ছাড়েনি। ১৯৮৯ কাশ্মীর উপত্যকার বিভীষিকাময় সময়ে। যখন কাশ্মীরে অশান্তি শুরু হয়েছিল। ক্রমবর্ধমান ইসলামিক জিহাদের ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু পণ্ডিতদের উপত্যকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল। বিতর্কিত পটভূমির কারণে, ছবিটি মুক্তির আগে আইনি সমস্যায় পড়েছিল।
অন্যদিকে, ৫৩ তম আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া বা ইফি। সেই মঞ্চে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিকে ‘অশ্লীল’, ‘একপেশে’ (প্রোপাগান্ডা) ছবি বলে তীব্র ভৎর্সনা করেন এই চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি চেয়ারম্যান তথা ইজরায়েলি পরিচালক নাদাভ লাপিড।
যদিও সব বিতর্ককে দূরে সরিয়ে গত বছরে বক্স অফিসে রেকর্ড ব্যবসা করেছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ২০২৩ সালের অস্কারের শর্ট লিস্টে জায়গা পেয়েছে এই ছবি। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পাশাপাশি অস্কারের দৌড়ে জায়গা করে নিয়েছে ভারতীয় ছবি ‘গাঙ্গুবাঈ’, ‘আরআরআর’, ‘কান্তারা’, ‘ছেল্লো শো’।