বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > ‘১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়া উচিত বিবেকের’, শ্যুট শেষ দ্য ভ্যাকসিন ওয়ারের, কবে মুক্তি?

‘১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়া উচিত বিবেকের’, শ্যুট শেষ দ্য ভ্যাকসিন ওয়ারের, কবে মুক্তি?

শ্যুট শেষ বিবেক অগ্নিহোত্রির দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার সিনেমার। 

দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার-এর শ্যুটিং শেষ হওয়ার খবর সামনে আনলেন অভিনেত্রী পল্লবী জোশি। সঙ্গে এমন একটা শক্ত বিষয়ে ছবি বানানোর জন্য বিবেক দিলেন ১০০ শতাংশ নম্বর।

বিবেক অগ্নিহোত্রীর নতুন সিনেমা ‘দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার’-এর শ্যুটিং শেষ। জাতীয় পুরস্কার-প্রাপ্ত অভিনেত্রী ও বিবেকের স্ত্রী পল্লবী জোশি সেই খবর শেয়ার করে নিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা মুক্তি পাওয়ার কথা চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে, তাও আবার ১১টি ভাষায়। এই ছবির প্রযোজনা করেছে পল্লবী যোশির আই অ্যাম বুদ্ধা প্রোডাকশন ও অভিষেক আগরওয়ালের অভিষেক আগরওয়াল আর্টস।

পল্লবী ছবির শ্যুট শেষ হওয়ার খবর শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘ভ্যাকসিন ওয়ার অন্য যে কোন চলচ্চিত্রের মত নয় যা আমরা 'আই অ্যাম বুদ্ধ' প্রোডাকশনের অধীনে করেছি। সায়েন্স থ্রিলার একটি খুব নতুন ধারা এবং এটি খুব কঠিন ঘরানা কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি বিবেকের এই ছবি লেখা ও পরিচালনার চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য বিবেকের ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়া উচিত।’

তিনি আরও লিখলেন, ‘এখন সিনেমার পর্দায় হিট করা শুধু একটি শ্বাসরুদ্ধকর অপেক্ষা। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা সবসময়ই 'আই অ্যাম বুদ্ধ' প্রযোজনা সংস্থার মূলমন্ত্র এবং আমি মনে করি ভ্যাকসিন ওয়ারের মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য একটা নতুন মান নির্ধারণ করেছি। কখনও কখনও যা কিছুটা ভীতিজনক হয় তবে সঙ্গে অত্যন্ত সন্তোষজনকও।’

ছবিতে রয়েছেন অনুপম খের, পল্লবী জোশি, নানা পাটেকর , নিবেদিতা ভট্টাচার্য, সপ্তমী গৌড়া, গিরিজা ওক। জন আব্রাহামের সিনেমা তারিখ-এর সঙ্গে হবে এই সিনেমার মুখোমুখি সংঘর্ষ। এখন কোনটা সেইসময় বক্স অফিসে কামাল দেখায় সেটা দেখার অপেক্ষা। যদিও বক্স অফিসের নতুন ট্রেন্ড ফলো করলে পাল্লা বিবেকের দিকেই ভারি।

এই সিনেমার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বিবেক এর আগে জানিয়েছিলেন, ‘কেভিড ১৯ লকডাউনের সময় যখন কাশ্মীর ফাইলসের কাজ পিছিয়ে যায়, তখন আমি এটা নিয়ে গবেষণা করছিলাম। এরপর আমরা ICMR ও NIV-এর বিজ্ঞানীদের উপরে গবেষণা শুরু করি যাদের জন্য এই টিকা সম্ভবপর হয়েছে। তাঁদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের গল্প মনে জায়গা করে নেয়। এবং আমরা বুঝতে পারি কীভাবে এই মানুষগুলো শুধু বিদেশী সংস্থাগুলির সঙ্গে নয়, এমনকী আমাদের নিজেদের লোকেদের সঙ্গেও যুদ্ধ করেছিল। তবুও, আমরা দ্রুততম, সস্তা এবং নিরাপদ ভ্যাকসিন তৈরি করে পরাশক্তির বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছি। আমি তখনই ভেবে রেখেছিলাম এই গল্পটি বলা উচিত যাতে প্রত্যেক ভারতীয় তাদের দেশ নিয়ে গর্ব অনুভব করতে পারে।’

বন্ধ করুন