এই মুহূর্তে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন সংখ্যালঘু সমাজের মানুষ। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ। সমস্যার আঁচ টের পেয়েছে মালদহ, নদীয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষেরাও। মুর্শিদাবাদের কঠিন পরিস্থিতিতে তাই এবার নিজের আগামী ছবির শ্যুটিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।
বেশ কিছুদিন মুর্শিদাবাদে চলছিল ‘দ্যা দিল্লি ফাইলস’ সিনেমার শ্যুটিং। তবে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত রয়েছে মুর্শিদাবাদ, যার জেরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এই পরিস্থিতিতে উপযুক্ত প্রশাসনিক সহায়তা না পেলে শ্যুটিং করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিবেক।
আরও পড়ুন: শাহরুখের সিনেমা দেখে কেঁদে ভাসালেন আমেরিকান, ভিডিয়ো দেখে হেসে খুন নেটিজেনরা
আরও পড়ুন: ক্যানসারের চিকিৎসা সেরে ফিরেছেন বাড়ি, এখন কেমন আছেন আয়ুষ্মান পত্নী?
মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি ১৩ এপ্রিল একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তিনি দাবি করেন, বাংলার যে বর্তমান পরিস্থিতি তা কিছুটা কাশ্মীরের সঙ্গে মিলে যায়।
মুর্শিদাবাদ তথা বাংলাকে চৈতন্য মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি এবং রবীন্দ্রনাথের জন্মভূমি বলে দাবি করে বিবেক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘বাংলা কি সত্যি কী মহান নবজাগরণের জমি? এটা তো বাংলা মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে যেন নতুন কাশ্মীর।’
মুর্শিদাবাদে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার ভিডিয়োও পোস্ট করেন পরিচালক। কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে তিনি দাবি করে বলেন, ‘বাংলার জনবিন্যাস যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে, সেটা সত্যি বিপদজনক। এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তাহলে আগামী দিনে বাংলার অবস্থা নয়ের দশকের কাশ্মীরের মতো হয়ে যাবে।’
বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবেক বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কাজ করা অসম্ভব। রাজ্য সরকার বা প্রশাসনের সহায়তা না পেলে মুর্শিদাবাদে শ্যুটিং করা সম্ভব হবে না। আগামী দিনে হয়তো মুম্বইয়ে সেট তৈরি করে বাকি শ্যুটিং সম্পন্ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: 'একমাত্র বোকারাই...', ‘টয়লেট’ কটাক্ষে নাম না করে জয়াকে বিঁধলেন অক্ষয়?
আরও পড়ুন: মায়ের কোলে বসে দুই বিখ্যাত নায়িকা, একজন আবার মিস ইন্ডিয়া, চিনতে পারছেন এঁদের?
প্রসঙ্গত, ‘দ্যা কাশ্মীর ফাইলস ’মুক্তি পাওয়ার পর একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিবেক। চিরকালই তিনি যে হিন্দুবাদকে সমর্থন করে আসেন, সে কথা সকলেরই জানা। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতিতেও যে তিনি চুপ থাকবেন না, এটা বোধহয় আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন অনেকে।