কোম্পানি, রোড, সাথিয়া, যুবা একের পর এক দুর্দান্ত সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন বিবেক ওবেরয়। কিন্তু কেন হঠাৎ এই সফলতার যাত্রা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল? কেন মূল চরিত্রে অভিনয় ছেড়ে কমেডি বা পার্শ্ব চরিত্রের অভিনয় করতে হয়েছিল তাঁকে?
ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন ভাইজানের সম্বন্ধে মিডিয়ার সামনে কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন বিবেক, যা ছিল তাঁর জীবনের সবথেকে বড় ভুল। বলিউডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির শিকার হয়ে অবশেষে কিছুটা বাধ্য হয়ে অভিনয় করার পাশাপাশি শুরু করতে হয়েছিল ব্যবসা। যদিও তাতে লাভ হয়েছে অভিনেতারই, আজ প্রথম সারির অভিনেতাদের পিছনে ফেলে দিয়ে ১২০০ কোটি টাকার মালিক বিবেক।
আরও পড়ুন: মার্ডার কেসে বোন গ্রেফতার হতেই মুখ খুললেন নার্গিস! লিখলেন, ‘আমরা আসছি…’
আরও পড়ুন: ৪ দিন ধরে হাসপাতালে রাঙামতি তীরন্দাজ-র ‘বৃন্দা’ মধুরিমা! বন্ধ শ্যুট, কবে ফিরতে পারবেন সেটে
মস্তি অভিনেতা নিজের পুরনো সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘শুট আউট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা সিনেমাটির গণপদ তু দারু লা গানটি যখন ভীষণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল তখন আমি ভেবেছিলাম আমার কাছে একের পর এক সিনেমার অফার আসবে কিন্তু তা হয়নি। প্রায় ১৪ থেকে ১৫ মাস আমি বাড়িতে বসেছিলাম, যেটা ছিল আমার জীবনের সবথেকে কঠিন সময়।’
সুরেশ পুত্র বলেন, ‘একটা সময় আমাকে প্রচুর অপমান, উপহাস এবং পেশাদার নাশকতার শিকার হতে হয়েছিল। একের পর এক সিনেমা সাইন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। আমি আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে একাধিকবার হুমকি পেয়েছি, যার ফলে আমাকে এক সময় পুলিশের কাছ থেকে সাহায্যও নিতে হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: অবসাদে ভুগছেন বাবিল! ইরফানের-স্ত্রী সুতপা জানালেন, 'বারবার ওকে এভাবে...'
বিবেক বলেন, ‘২২ বছরে প্রায় ৬৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছি আমি। এই ইন্ডাস্ট্রি যে খুব অনিরাপদ জায়গা, তা হলফ করে বলতে পারি আমি। ২০০৭ সালে শুট আউট অ্যান্ড লোখান্ডওয়ালা সিনেমাটি হিট হওয়া সত্ত্বেও যখন আমাকে প্রায় ১৪ মাস বসে থাকতে হয়েছিল বাড়িতে, তখনই আমি বিকল্প পথ বেছে নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করি।’
২০০৯ সালে বিবেক বিকল্প পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ব্যবসা। এই ব্যবসা অর্থনৈতিক টানাপোড়েন কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল বিবেককে। ২০১০ সালে কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত জীবরাজ আলভার মেয়ে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করেন বিবেক। পেশা এবং নেশা দুটোকেই সঙ্গে নিয়ে আজ বেশ ভালই দিন কাটাচ্ছেন অভিনেতা।