২০০৩ সালের ১ এপ্রিল বিবেক ওবেরয় করেছিলেন সেই কুখ্যাত সংবাদ সম্মেলন। বলিউডের কিছু নেতিবাচক দিক ফুটে উঠেছিল সেদিন বিবেকের কথায়। ২০ বছর পর ফের সেই একই বিতর্ক বলিউডের অন্দরে। এবার প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার হাত ধরে। বলিউডের লবি এবং দাদাগিরি-র কথা হলিউডের এক পডকাস্ট শো-তে গিয়ে ফাঁস করেন অভিনেত্রী। জানান একসময় তাঁকে ‘কোণঠাসা করা হয়েছিল’। এই নিয়ে মুখ খুললেন বিবেক। বললেন, ‘আমি আনন্দিত যে আমি এসবের থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু সবাইয়ের তো এত ভাগ্যবান হওয়ার সৌভাগ্য হয় না।’
সেই কনফারেন্সের ২০ বছর পর বিবেক বললেন, ‘অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম সেই সময়। অনেক লবি, অনেক গল্প রয়েছে এর পিছনে, প্রিয়াঙ্কা যা ইঙ্গিত করেছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে এটি আমাদের শিল্পের একটি অঙ্গ। আমাদের শিল্পের অন্ধকার দিকগুলির মধ্যে একটি। যাকে এটা গ্রহণ করতে হয় জানি তাঁর জন্য কতটা হতাশাজনক। আপনার মনে হবে এই তো আমি একটা অ্যাওয়ার্ড উইনিং পারফরমেন্স দিলাম, শুট আউট লোখান্ডওয়ালার জন্য কত সম্মান পেলাম, তারপর ১৪ মাস বাড়িতে বসে। কোনও কাজ পাচ্ছিলাম না। আমি নিজে যখন এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমি এর থেকে বেরোতে চাইছিলাম। এমন কিছু করতে চাইছিলাম যা আমার ক্ষমতায়ন করবে।’ বিবেক জানান সেই সময় তিনি তাঁর ফোকাস সরিয়ে নেন ‘পরোপকার এবং ব্যবসা’য়।
বিবেক নিজের বক্তব্যে যোগ করেন, ‘প্রিয়াঙ্কার সর্বশেষ বিবৃতি জীবনে নতুন স্থান খুঁজে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণামূলক। তিনি নিজে থেকে বাইরে গিয়ে নিজের জন্য নতুন পথ খুঁজে নেন। এই জট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে এবং পেশাগতভাবে তাঁর জন্য ম্যাজিক হয়েছিল।’
‘ধারাভি ব্যাঙ্ক’-অভিনেতা স্বীকার করে নেন এই ধরনের বুলি করার অভ্যেস ও গুন্ডামি তরুণ অভিনেতাদের ‘হত্যা করতে পারে’। বিবেকের কথায়, ‘শিল্প এমনিতেই একটা খুব অনিরাপদ জায়গা। প্রকৃতিগতভাবে শিল্পীরা খুব ভঙ্গুর অবস্থায় বাস করেন কারণ তাঁরা আরও দুর্বল হয়। সেটা MeToo আন্দোলন হোক, কাস্টিং কাউচ হোক বা বুলি করা বা লবিবাজি-- এই সব কিছুই সৃজনশীলতা থেকে আনন্দ কেড়ে নেয়। আমি আনন্দিত যে আজকাল এই জিনিসগুলি নিয়ে খোলামেলা কথা বলা হচ্ছে। এবং আসতে আসতে তা কেটে যাবে।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)