যতটা না কাজের জন্য, তার থেকে বেশি ঐশ্বর্য রাই-এর সঙ্গে সম্পর্ক, সলমন খানের সঙ্গে সংঘাতের কারণে খবরে থাকেন বিবেক ওবেরয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ঐশ্বর্যকে নিয়ে, যদিও তিনি উত্তর দিতে চাননি একেবারেই।
২০০৩ সালে একে-অপরের থেকে আলাদা হয়ে যান বিবেক আর ঐশ্বর্য। তখন তিনি দাবি তুলেছিলেন যে, ঐশ্বর্যর প্রাক্তন প্রেমিক সলমন খান তাঁকে ফোনে হুমকি দিচ্ছে বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে প্রেম করার কারণে। যা বুমেরাং হয়ে তাঁর দিকেই ফিরে আসে। কেরিয়ার প্রায় পড়ে যায়। এরপর বিবেক ২০১০ সালে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা আলভাকে, যিনি কর্নাটকের মন্ত্রী জীবরাজ আলভার কন্যা। এখন দুই সন্তান নিয়ে তাঁর সুখের সংসার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেককে প্রশ্ন করা হল ঐশ্বর্যকে নিয়ে। জানতে চাওয়া হল, কেরিয়ারের শুরুর দিকেই যদি তিনি ঐশ্বর্যর সঙ্গে সম্পর্ককে প্রকাশ্যে না আনতেন, তাহলে কি ব্যাপারটা অন্যরকম হত? মুখে হাসি নিয়েই এই প্রশ্নের জবাব দেবেন না বলে জানিয়ে দেন অভিনেতা। বলেন, ‘আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি না, কারণ এটা এখন অতীত এবং ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। তবে তরুণদের জন্য কিছু উপদেশ রয়েছে আমার। যারা আমার সাক্ষাৎকার দেখছেন একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, আপনি যদি সত্যিই আপনার কাজের প্রতি মনোযোগী এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, এবং আপনি যদি এটিকে নিজের একশোভাগ দিয়ে থাকেন, আমি এটা অনেক জায়গাতেই ঘটতে দেখেছি, আমার একমাত্র উপদেশ হল যে খেয়াল রাখবেন আপনার পেশাদারিত্বের উপর তারা যাতে আক্রমণ করতে না পারে, যাতে আপনার প্রতিভার উপর আক্রমণ করতে না পারে, যদি তারা আপনার কাজের উপর আক্রমণ করতে না পারে তাহলে যেন আপনার জীবনের অন্য কোনও দিকেও আক্রমণের সুযোগ না পায়। কারণ এটা কাজের প্রতি আপনার ফোকাসকে নষ্ট করবে।’
এই সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য প্রসঙ্গ ফের ওঠে। যখন বিবেকের কাছে প্রশ্ন যায়, কেন তিনি নিজের বিয়ে হওয়া আগে অবধি বচ্চন-বধূর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধই রেখেছিলেন। এর জবাবে কৃশ ৩ অভিনেতা বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আপনি যদি চান লোকেরা আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা না বলুক, আপনি যদি চান সকলে এর প্রতি সংবেদনশীল হোক, তাহলে সবার আগে আপনাকে নিজেকে এটা নিয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে।’