রাম গোপাল বর্মার পরিচালনায় ' কোম্পানি ' ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন বিবেক ওবেরয়।প্রথম ছবিতেই দর্শকদের মনে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। বলিউডে হইচই ফেলে দেওয়া এই গ্যাংস্টারধর্মী ছবির রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপিয়ে হাজির হয় বিবেকের 'সাঁথিয়া'। তবে অনেকেই জানেন না 'কোম্পানি' নয়,বরং আব্বাস-মাস্তানের পরিচালনায় একটি ছবির মাধ্যমেই বলিউডে ডেবিউ করার কথাছিল এই অভিনেতার।সে ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন বিবেকের বাবা বর্ষীয়ান বলি-অভিনেতা সুরেশ ওবেরয়।কিন্তু আচমকাই একদিন সেই ছবি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বিবেক। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং বিবেক।

বিবেকের কথায়, বর্তমানে বলিউডে নেপোটিজম নিয়ে নানান কথা ওঠে।তবে তিনি যখন বলিপাড়ায় পা রাখার জন্য প্রস্তুতি সারছিলেন তখন নেপোটিজম বিষয়টি ভীষণ সাধারণ ছিল।অভিনেতার কথায়,' যে কোনও ফিল্মি পরিবারের তরফে তাঁদের সন্তানকে বলিউডে লঞ্চ করা যারপরনাই সাধারণ ছিল। অনেকটা যেন সন্তান বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে সন্তান ফিরেছে দেশে, চলো এবার তাঁকে বলিউডে লঞ্চ করা যাক!' তাঁর ক্ষেত্রেও যে বিষয়টি ঠিক এরকমই ছিল, সেকথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি। এরপরেই বিবেকের কথায় উঠে আসেআব্বাস-মাস্তানের সেই ছবির কথা। ছবির প্রি প্রোডাকশনের কাজ তখন জোরকদমে এগোচ্ছে। এমনই এক সময়ে তাঁর মনে হয় যদি এই ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে তাহলে তাঁর বাবা রীতিমতো পর্যদুস্ত হয়ে পড়বেন। মুখোমুখি হবেন তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে। একই সময়ে অভিনেতার আরও মনে হয় যে তাঁর বাবা সুরেশ ওবেরয় কোনওরকম কারোর সাহায্য কিংবা কারোর তদ্বির ছাড়াই বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। তাহলে বিবেক নিজেই তা পারবেন না কেন? এইভাবনা আসার পরমুহূর্তেই বাবাকে গিয়ে নিজের 'সিদ্ধান্ত'-র কথা জানান তিনি।গেছিলেন আব্বাস-মাস্তানের কাছেও।ক্ষমা চেয়ে তাঁদেরকেও নিজের সিদ্ধান্ত ও এই ভাবনার পিছনে থাকা যুক্তির কথা বলেন তিনি।ফলে বন্ধ হয় ছবির কাজ। শেষপর্যন্ত এই ঘটনার দেড় বছর পর অসংখ্য ছবির অডিশনে মুখ দেখানোর পর তাঁর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে 'কোম্পানি' ও 'সাঁথিয়া'।
এইমুহূর্তে নিজের প্রযোজনায় 'দ্য স্যাফরন চ্যাপ্টার' নামের একটি হরর সিরিজে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।ওই ছবিতে প্রথমবার পর্দায় দর্শকদের সামনে হাজির হবেন অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারির কন্যা পালক তিওয়ারি।