সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং দাবি করেছেন যে তাঁকে এইমসের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে অভিনেতাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু এই দাবি যথার্থ নয় বলে জানালেন এইমসের ফরেনসিক টিমের প্রধান।
চিকিৎসক সুধীর গুপ্ত জানিয়েছেন যে গলায় দাগ দেখেই কিছু বোঝা যায় না। তিনি বলেন যে এখনও তাঁরা কোনও উপসংহারে পৌঁছাতে পারননি। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষ ও সুশান্তের পরিবারকে একটু ধৈর্য ধরতে বলেছেন তিনি। বর্তমানে সুশান্ত মৃত্যুর তদন্ত করছে সিবিআই। এইমসের টিমের রিপোর্টের ওপর এই তদন্ত অনেকাংশে নির্ভরশীল।
সুধীর গুপ্ত টাইমস নাওকে বলেছেন হোমিসাইড বা সুইসাডের বিষয় কিছু গলায় দাগ বা মৃত্যুর জায়গা দেখে বলা খুব শক্ত। চিকিৎসকদের পক্ষেই এটি কঠিন কাজ, আম আদমির পক্ষে তো সম্ভব নয়, বলে তিনি জানিয়েছেন। ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সত্যটি উদঘাটন করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
সুশান্তের বাবা অভিনেতার বান্ধবীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা ঠুকেছেন। একই সঙ্গে আছে টাকা তছরুপের অভিযোগ। তবে তাঁর নিযুক্ত আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের অভিযোগ হত্যা করা হয়েছে সুশান্তকে।
টুইটারে তিনি বলেন যে কেন সিবিআই এটিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা থেকে খুনের মামলায় বদলাচ্ছে না, সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। এইমসের চিকিৎসক তাঁকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে এটি গলা টিপে হত্যা, আত্মহত্যা নয়, বলেই তিনি দাবি করেন। সুশান্তের দিদি শ্বেতা এই টুইট শেয়ার বলেন যে এত দিন ধরে ধৈর্য রেখেছি, আর কতদিন সময় লাগবে সত্যি উদঘাটন হতে।
বর্তমানে মাদক কাণ্ডে জেলে রয়েছেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। তবে এইমসের ফরেনসিক রিপোর্টের জন্যই এখন প্রতীক্ষায় সবাই।