বলিউডের নায়িকা মানেই চোখধাঁধানো সৌন্দর্য্য এবং আসমুদ্রহিমাচল পরিচিতি। আর সেই নায়িকা যদি হয় আমির,শাহরুখ কিংবা সলমনের মতো খানদের ছবির নায়িকা তাহলে তো কথাই নেই। খ্যাতির স্পটলাইটের তলায় থাকার পাশাপাশি সেই নায়িকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে উপচে পড়বে মা লক্ষীর কৃপা। মোটামুটি এই জনপ্রিয় ধারণাই প্রচলিত ভারতীয় ছবির দর্শকদের মধ্যে। একথা যে সর্বৈব ভুল তার দাবি কোনও উন্মাদ ব্যক্তিও করবে না। কিন্তু এই 'কপিবুক' সংজ্ঞার বাইরেও তো কখনও কিছু হতেই পারে দারুণ পরিচিত কোনও বলি-নায়িকার জীবনে। বেকার হয়ে যেতে পারেন কিংবা রোজগার না থাকতে পারে।আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রায় চমকে দেওয়ার মতোই এমন একটি খবর জানালেন 'দঙ্গল' ছবি খ্যাত অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখ।
সোমবার নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে 'দঙ্গল' ছবি খ্যাত অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখ-এর একটি ভিডিও। আর প্রকাশ পাওয়ার পরেই তা মুহূর্তে হয়েছে ভাইরাল। কী এমন রয়েছে সেই ভিডিওতে? ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মুম্বইয়ের রাস্তায় ক্যাজুয়াল পোশাক ও মুখে মাস্ক পরে হেঁটে আসছেন এই 'দঙ্গল গার্ল'। রাস্তার মাঝে এক পাপারাৎজির করা প্রশ্নের উত্তরে কোনও রাখঢাক না রেখে ফতিমার জবাব,' এইমুহূর্তে আমার হাতে কোনও কাজ নেই।ফলে রোজগারও নেই। যাকে বলে পুরোপুরি বেকার বসে রয়েছি। তবে করোনার পেঅকোপ যখন কমবে আর ফের একবার বলিপাড়ায় কাজ শুরু হবে বাকিদের মতো আমিও কাজ পাবো!'
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজস্থানে একটি ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্তছিলেন ফতিমা। শ্যুটিং ফ্লোরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনিল কাপুরও। শ্যুটিং চলার মাঝেই করোনায় আক্রান্ত হন ফতিমা। জানা গেছিল তখন প্রতিদিন নিয়ম করে 'দঙ্গল গার্ল'-এর জন্য নিজের শেফকে নির্দেশ দিতেন খাবার তৈরির। তারপর নিজের উদ্যোগে সেই খাবার পৌঁছে দিতেন অভিনেত্রীর কাছে। নেটমাধ্যমে এই 'ঘর কা খানা'-র জন্য অনিলের কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছিলেন ফতিমা। উল্লেখ্য, গত বছর নেটফ্লিক্সে 'লুডো' এবং 'সূরজ পে মঙ্গল ভারি' এই দুটি ছবিতে দেখা গেছিল তাঁকে। এছাড়াও নেটফ্লিক্সের আরেকটি ছবির সিরিজে অভিনেতা জয়দীপ আহলাওয়াতের সঙ্গেও স্ক্রিন শেয়ার করতে গেছিল ফতিমাকে।