‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’ (WBFJA)-এর তরফে রবিবার অনুষ্ঠিত হল ‘সিনেমার সমাবর্তন’ অনুষ্ঠান। বর্ষসেরাদের পুরস্কৃত করার মাধ্যমেই শুরু হল ২০২৩-এর। জেম প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এদিনের অনুষ্ঠানে ছিল চাঁদের হাট। সঞ্চালকের ভূমিকায় অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অতিথি হিসাবে হাজির দেব, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, ঋদ্ধিমা চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তী, ঋত্বিক চক্রবর্তী, গার্গী রায়চৌধুরী, পাওলি দামরা।
সারা বছর টলিউডের হালহাকিকত দর্শক-পাঠকদের সামনে তুলে ধরলেন যাঁরা, তাঁদের চুলচেরা বিশ্লেষণেই সেরা পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীর পুরস্কার তুলে দেওয়া হল। বছরের একদম শেষে মুক্তি পেয়েছিল ‘প্রজাপতি’। এই ছবি শুরু থেকেই থেকেছে চর্চায়। বিতর্কও কম হয়নি। এদিনের আসরে বাজিমাত করল অনস্ক্রিন বাবা-ছেলের জুটি। সেরা অভিনেতার পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন দেব। এই ছবির জন্যই সেরা জনপ্রিয় অভিনেতা নির্বাচিত হলেন ‘মিঠুন’। মিঠুনের অনুপস্থিতিতে এদিন তাঁর পুরস্কার গ্রহণ করেন দেব। মঞ্চে নায়কের ঘোষণা, ‘অন্য ক্যাটেগরিতে যে জিতবে সে নিয়ে সংশয় থাকলেও এই ক্যাটেগরিতে নেই’।
‘মহানন্দা’ ছবিতে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গেল গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের ঝুলিতে। এই বছর লাইফটাইম অ্যাচিভেন্ট সম্মান পেলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। দেবের পাশাপাশি ‘সেরা অভিনেতা’র সম্মান পেয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ‘অনন্ত’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার পেলেন ঋত্বিক।
এই বছর ‘সিনেমার সমাবর্তন’-এ সবার নজর ছিল ‘দোস্তজী’র উপর। প্রত্যাশা মতোই ‘অপরাজিত’র সঙ্গে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিল নবাগত পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের এই ছবি। সেরা সম্ভবনাময় পরিচালকের পুরস্কারও জিতেছেন তুহিন। পাশাপাশি এই ছবির জন্যই ‘সেরা চিত্রগ্রাহক’-এর সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছেন তুহিন বিশ্বাস। পপ্যুলার ক্যাটেগরিতে সেরা ছবি কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন এবং প্রজাপতি।
এবছর পরিচালক সৃজিতের ঝুলি খালি থাকলেও এই ঐতিহ্যশালী অ্যাওয়ার্ড সেরেমানির সঙ্গীত বিভাগে বাজিমাত করল ‘এক্স=প্রেম’। এই ছবির ‘ভালোবাসার মরসুম’ এবং ‘সিন্ডারেলা মন’ গানের জন্য যথাক্রমে সেরা গায়কের সম্মান পেলেন অরিজিৎ সিং এবং সপ্তক সানাই দাস। ‘ভালোবাসার মরসুম’ গেয়ে সেরা গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। এই গানের জন্যই সেরা মিউজিক কম্পোজার ও গীতাকের পুরস্কার দিয়েছে সপ্তক সানাই দাস ও সুব্রত বারিসওয়াল্লার ঝুলিতে।
এই বছর ‘সিনেমার সমাবর্তন’-এ সেরা পরিচালক অনীক দত্ত। অপরাজিত ছবির জন্য এই সম্মান গেল পরিচালকের খাতায়। অন্যদিকে এই ছবির জন্য সেরা উদীয়মান অভিনেতার সম্মান পেয়েছেন জিতু কমল। সেরা উদীয়মান অভিনেত্রী (এক্স=প্রেম) শ্রুতি দাস। পরিচালক-অভিনেতা অনির্বাণ সম্মানিত হলেন ‘সেরা উদীয়মান প্রতিভা’র সম্মানে।