'বিচার চাই, বিচার', ফের একবার একই স্লোগান তুলে পথে নামলেন সাধারণ মানুষ। কারণ, আবারও একবার মহা মিছিলের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। ১৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত চলবে জুনিয়র ডাক্তারদের এই মিছিল। সেই মতোই জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি এদিন বিকেল থেকেই সাধারণ মানুষও পথে নেমেছেন।
তবে শুধুই সল্টলেক নয়, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তেই চলছে এই মহামিছিল। এদিন আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীদের মিছিল চলছে ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে শ্যামবাজার মোড় পর্যন্ত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে প্ল্যাকার্ড হাতে পথে নেমে পড়েছেন বিভিন্ন স্কুলের প্রাক্তনীরা। আবার একই সঙ্গে এদিন করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল করছেন এরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের নার্সরা। সকলের শুধুই একটাই দাবি, ‘দাবি এখন একটাই, তিলোত্তমার বিচার চাই।’ তাঁদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি দেখা যায় জাতীয় পতাকাও। অন্যদিকে ৫ দফা দাবি নিয়ে সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিলও ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভও চলছে।
এছাড়াও গোটা কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত, মহা মিছিল চলছে। আর তা চলছে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই। বলা ভালো এই বর্ষণ যেন এখন রাজ্যবাসীর কান্না হয়ে ঝড়ে পড়ছে। এমনই এক মিছিলের এক টুকরো মুহূর্ত উঠে এল অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের ইনস্টাগ্রামের পাতায়। যেখানে রাস্তায় ত্রিপল খাটিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই গান গেয়ে, গলা চড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। সমবেত কণ্ঠে গাইতে শোনা যাচ্ছে কবি নজরুলের সেই গান, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট/কারার ঐ লৌহ কপাট/ ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী../ ওরে ও তরুণ ঈশান..বাজা তোর প্রলয় বিষাণ, ধ্বংস-নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি..’।
আরও একটা দলকে আবার উৎসবের ঢাক বাজিয়ে দুর্গামূর্তি সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে আঁকা নির্যাতিতা ছবি সামনে রেখেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। কারোর কণ্ঠে আবার রবি ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমণি’ গান। বৃষ্টির মাঝে এই প্রতিবাদের মুহূর্ত তুলে ধরে স্বস্তিকা লিখেছেন, 'বৃষ্টি আরো জোরে আয় তিলোত্তমার বিচার চায়'।
এই ছবি থেকে একটা কথা সকলের কাছে স্পষ্ট এবার আর কোনও কিছুর বিনিময়েই আপোষ করতে রাজি নয় এরাজ্যের মানুষ। তা সে বৃষ্টিই হোক কিংবা শাসকের ভ্রূকুটি।