সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে করিনা কাপুর জানিয়েছিলেন বড় হয়ে ওঠার দিনগুলোয় তিনি এবং তাঁর দিদি করিশ্মা মোটেই দারুণ বিলাসবহুল জীবন কাটাননি। মায়ের কাছে বড় হয়ে ওঠা তাঁরা দুই বোন একসময় যে প্রায় নিত্যদিন আর পাঁচজনের মতো বাস-অটো চড়েছেন সেকথাও জানিয়েছিলেন 'বেবো'। এরপরেই স্ট্রাগলের বর্ণনা দিতে গিয়ে অভিনেত্রীর মন্তব্য,' অবস্থা এতটাই কঠিন ছিল যে তখন ড্রাইভার রাখার সামর্থ্যও ছিল না আমাদের।'
এক সাক্ষাৎকারে 'জব উই মেট' এর নায়িকাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি নিজেকে তাঁর তুতো ভাই তথা বলি-তারকা রণবীর কাপুরের মতো 'প্রিভিলেজড' মনে করেন কি না। জবাবে এই বলি-অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন একেবারেই নয়। তাঁর যুক্তি ছিল যেহেতু তাঁকে এবং করিশ্মাকে তাঁদের মা একা হাতে বড় করেছিলেন তাই সবকিছুই মেপেজুপে করা হত। অঢেল বলে কোনোকিছুই ছিল না তেনাদের জন্য। মানুষ হয়ত ভাবতেন 'কাপুর পরিবার' মানেই বিরাট এক ব্যাপার। তা সত্যি হলেও তাঁদের ক্ষেত্রে তখন ওই বিষয়টি প্রযোজ্য ছিল না। 'করিশ্মা ট্রেন, বসে চেপেই কলেজ যেত। আমিও স্কুল যেতাম আর সবার মতো স্কুল বাসে করেই। কারণ তৎকালীন সময়ে একজন ড্রাইভার রাখার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না। এতটাই কঠিন পরিস্থিতি ছিল আমাদের।'

এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নেটদুনিয়ায় চরম ট্রোলড হন করিনা। নেটিজেনরা তীব্র সমালোচনা করেন অভিনেত্রীর এহেন বক্তব্যের। কেউ কেউ বলেন, যেখানে মানুষের অন্যের সংস্থান হচ্ছে না ঠিক করে সেখানে গাড়ির চালক না রাখার সামর্থ্য বুঝি দরিদ্রতার লক্ষণ? কেউ বা বলেন চালক না রাখতে পাড়ার সামর্থ্য যদি তীব্র অভাবের উদাহরণ হয় তাহলে যাঁদের মাথার ওপরে ছাদ নেই কিংবা রোজকার খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য প্রাণপাত করছেন পরিশ্রম করে, সেইসব মানুষদের কী বলা হবে?