বৃহস্পতিবার যোগি আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেন সুনীল শেট্টি, জ্যাকি শ্রফরা। উত্তরপ্রদেশের আসন্ন ফিল্ম সিটির পরিপ্রেক্ষিতেই ছিল এই সাক্ষাৎ। সেখানে আদিত্যনাথের সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে সুনীলকে বলিউড বিরোধী যে ট্রেন্ড আজকাল চালু হয়েছে তা নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি এই নিয়ে কথাও বলেন। সঙ্গে আশ্বস্ত করে আসেন ইন্ডাস্ট্রি মানেই ‘ড্রাগস বা অপরাধ’ একথা মোটেও সত্যি নয়।
একদিন আগেই যোগীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন অক্ষয়। ইউপির ভবিষ্যত ফিল্ম সিটি নিয়ে আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দুজনে কথা বলেন। বৈঠকে অক্ষয় যোগীর কাছে রাম সেতু দেখার অনুরোধ রাখেন বলেও খবর।
বৃহস্পতিবার যোগীর সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে সুনীল শেট্টিকে কথা বলতে শোনা যায় দর্শকদের ফের সিনেমা হল-মুখী করা নিয়ে। অভিনেতা হ্যাশট্যাগ 'বয়কট বলিউড'কে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেন। সুনীলকে বলতে শোনা যায়, ‘যে হ্যাশট্যাগটি চলছে, বলিউড বয়কট করুন, এটা বন্ধ হতে পারে আপনার কথায়। আমরা ভালো কাজ করছি এই কথাটি ছড়িয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পচা আপেল সর্বত্র আছে, কিন্তু শুধুমাত্র এই কারণে আপনি পুরো শিল্প জগতকে পচা বলতে পারবেন না। আজ মানুষ মনে করে বলিউড ভালো জায়গা নয়, কিন্তু আমরা এখানে এত ভালো ভালো ছবি বানিযেছি। আমিও এমন একটি ছবির অংশ ছিলাম, যখন আমি বর্ডার করেছি। আমি আরও অনেক ভালো চলচ্চিত্রের অংশ হয়েছি। আমাদের একসঙ্গে আসতে হবে এবং কীভাবে ‘বয়কট বলিউড’ হ্যাশট্যাগ থেকে মুক্তি পেতে পারি, সেদিক নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা কীভাবে এই প্রবণতা বন্ধ করতে পারি তা আমাদের চিন্তা করতেই হবে।’
সুনীলের তরফে ইউপি-র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রাখা হয় যেন তিনি এই ট্রেন্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও কথা বলেন।
সুনীল শেট্টি নিজের বক্তব্যে যোগ করেন, ‘আজ আমি যদি সুনীল শেট্টি হয়ে থাকি, সেটা ইউপি এবং সেখানকার ভক্তদের কারণেই। আপনি যদি নেতৃত্ব দেন তবে এটি অবশ্যই ঘটতে পারে। এটা ভাবলেই খারাপ লাগে যে আমাদের উপরে এরকম কলঙ্ক লেগেছে, এদিকে ইন্ডাস্ট্রির ৯৯ শতাংশ লোকই এমন নয়। ভারতকে যদি কিছু বাইরের দেশের সঙ্গে জুড়ে রাখে তাহলে তা আমাদের সিনেমাই। সুতরাং যোগীজি আপনি যদি নেতৃত্ব দেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন তাহলে তা অবশ্যই একটা বড় ফারাক আনবে।’