সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণগুলো কীভাবে বদলে যায় তা অনেক সময় আমরা নিজেরাও ঠাওর করতে পারি না। একটা সময় দুই সত্ বোন জাহ্নবী,খুশির সঙ্গে একদমই মধুর সম্পর্ক ছিল না অর্জুনের। তবে এখন অংশুলার পাশাপাশি জাহ্নবী-খুশিকে সারাক্ষণ আগলে রাখেন ‘ইশকজাদে’ তারকা। এখন তিনি তিন বোনের দায়িত্বশীল দাদা।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অর্জুন কাপুর একটি চিঠি পোস্ট করেন, যা তাঁর আদরের ছোট বোন জাহ্নবীর তরফে পাঠানো। সেখানে বলিউডের ধড়ক গার্ল রংবেরঙের কার্ডে অর্জুনের জন্য লিখেছেন, ‘তুমি যখন হারিয়ে যেতে চাও, তখনও তোমাকে ভালবাসব। জেনে রেখো, হারিয়ে গেলেও তোমাকে ঠিক খুঁজে বার করব আমরা। তোমার পাশে আছি। সব সময়ে।’
অর্জুনের শেয়ার করা জাহ্নবীর পাঠানো অপর কার্ড দেখে বোঝা গেল দাদার জন্য নানান মুখরোচক খাবার পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী। এই পোস্টে অর্জুন বুঝিয়ে দিলেন বোনের সঙ্গে ভাগ করেই সেই সব চকোলেট কেক, পেস্ট্রি গুলো দিয়ে উদরপূর্তি সারবেন তিনি। জাহ্নবীর এই ভালোবাসায় আপ্লুত অর্জুন পালটা লেখেন, ‘আমার মনে হচ্ছে তোর সঙ্গে শেয়ার করেই এগুলো খেতে হবে, কারণ ড্রিভ নেইল না হলে আমাকে মেরেই ফেলবে’। ড্রিভ নেইল অর্জুনের ফিটনেস ট্রেনার।

তবে ঠিক কী কারণে বা কোনো বিশেষ দিন বা মুহূর্তে দাদার মন ভালো করতে এই কার্ড আর উপহার পাঠিয়েছেন জাহ্নবী তা স্পষ্ট নয়।
বনি কাপুর ও তাঁর প্রথমপক্ষের স্ত্রী মোনা শৌরির ছেলেমেয়ে অর্জুন-অংশুলা। শ্রীদেবীকে বিয়ে করবার পর প্রথমপক্ষের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বনি কাপুরের। ছেলেবেলা থেকে জাহ্নবী-খুশির সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক না থাকলেও শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর অংশুলার মতোই নিজের দুই সত্ বোন জাহ্নবী ও খুশিকেও আগলে রেখেছেন অর্জুন। বর্তমানে চার ভাইবোনের সম্পর্ক অটুট।
অর্জুন এর আগে জানিয়েছেন, জাহ্নবীর মুখ থেকে ‘ভাইয়া’ ডাক শোনাটা ‘নতুন আর অদ্ভূত’ অনুভূতি এখনও। চলতি বছরের শুরুতে বনি কাপুর পুত্র জানিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে অর্জুন ভাইয়া ডাকটা আমার একটু অদ্ভূত লাগে, কারণ অংশুলা আমাকে ভাই বলে ডাকে। অর্জুন ভাইয়া ডাকটা খুব নতুন আমার কাছে। জাহ্নবী ওটা বলে ডাকলে আমার অদ্ভূত অনুভূতি হয়’।