পুজোর আগে এমনিতেই পকেটে টান ধরেছে সবার। পুজোর পরও হয়তো হাল একইরকম থাকবে। তা বলে কি ঘুরু ঘুরু করতে থাকা মনকে খারাপ করেই রাখতে হবে? তারচেয়ে চলুন কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরের এক নতুন সমুদ্রতটে। এখানে দীঘা-মন্দারমনির মতো লোকজনের আনাগোনা নেই। বেশ নিরিবিলি। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই এই জায়গা।
বাসে কন্টাই নেমে সেখান থেকে টোটো ধরে বগুরান জলপাই আসতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। ট্রেনে কাঁথি নেমেও বগুরান আসা যায়। তবে দীঘার মতো বগুরান জলপাই-এ কিন্তু মাতাল করা ঢেউ নেই। বরং সমুদ্র এখানে বেশ শান্ত। চওড়া বিচে খেলা করে বেড়ায় লাল কাঁকড়ারা। জোয়ার ভাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কখনও সমুদ্র কাছে চলে আসে তো কখনও আবার সরে যায় দূরে। তবে বিচের ধারে মাঁচার উপর বসে থাকতে মন্দ লাগে না। মাতাল করা নোনা হওয়া, সাদা ঢেউ, পিছনের ঝাউবন মিলিয়ে এই সৌন্দর্য সত্যিই অভাবনীয়।
বগুরান জলপাই থেকে খুব কাছে জুনপুট আর বাঁকিপুট। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দিরও দেখে নেওয়া যায়। ভালো লাগবে দরিয়াপুর লাইট হাউস।
কোথায় থাকবেন:
বগুরান জলপাইতে বর্তমানে থাকার একটিই জায়গা রয়েছে। আর তা হল সাগর নিরালা রিসর্ট। ঘর আর কটেজ দুই পেয়ে যাবেন। ভাড়াও খুব সামান্য। মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই। আর বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই রিসর্টটি। আর হোটেল থেকে পায়ে হেঁটেই বিচ।
এখানে সাইটসিন করার সেরকম কোনও জায়গা নেই। শহরের ব্যস্ত কোলাহলে ঘেরা জায়গা থেকে যারা একটা রাত কাটাতে চান একদম আলাদাভাবে তাঁদের জন্য এই জায়গা আদর্শ। বলা চলে, উইকেন্ড কাটানোর জন্য এক্কেবারে পারফেক্ট।
খুব কম বাজেটে দিঘা বা মন্দারমনির ভিড় এরিয়ে যারা ভাবছেন ছুটি কাটাবেন নির্জনে, তাঁদের জন্য বগুরান জলপাই এক্কেবারে আদর্শ।