বেহালা পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু কলকাতা পুলিশের। এই তারকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিনা অনুমতিতে রোড শো করবার। শ্রাবন্তীর পাশাপাশি বেহালার বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার চতুর্থ দফা ভোটে শ্রাবন্তীর ভাগ্য পরীক্ষা, বৃহস্পতিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। আর এইদিনই শ্রাবন্তীর সমর্থনে রোড শো করবার কথা ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। তবে মেলেনি পুলিশের অনুমতি। এর জেরেই মেজাজ হারান বেহালার ভূমিকন্যা। তাঁর অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপিকে প্রচার করা থেকে আটাকানো হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় বিক্ষোভও দেখান শ্রাবন্তী। এরপর অনুমতি ছাড়াই রোড শো করেন শ্রাবন্তী। এর জেরেই পর্ণশ্রী থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে শ্রাবন্তীর নামে। গোটা ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মিঠুনকে নিয়ে শেষবেলার প্রচারে ঝড় তোলবার পরিকল্পনা ছিল গেরুয়া শিবিরের। বেহালার পর্ণশ্রী থেকে নতুন পল্লি পর্যন্ত রোড শোয়ের কথা ছিল, এই প্রেক্ষেতি বুধবার রাতে পর্ণশ্রী থানায় আবেদন জানায় বিজেপি। সেই আবেদন খারিজ করে পুলিশ জানায়, এই রোড শো-এর জন্য ছাড়পত্র লাগবে নির্বাচন কমিশনের। এরপর মহাগুরু ও শ্রাবন্তীকে নিয়ে ডোর-টু ডোর ক্যাম্পেনের অনুমতিতেও ছাড়পত্র দেয়নি পুলিশ। এই নিয়েই উত্তেজনা ছড়ায় পর্ণশ্রী এলাকায়। বেলা বাড়তেই পর্ণশ্রী থানা ঘেরাও করেন বিজেপি সমর্থকরা। থানার ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান শ্রাবন্তী ও বিজেপি কর্মীরা। এরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা, অবৈধ জমায়েতের মতো অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হয়েছে।
অন্যদিকে মিঠুনের রোড শো বাতিল হওয়া নিয়ে শ্রাবন্তীর বক্তব্য, 'এতো ভয়? কারা করেছে কীভাবে করেছে, সকলে জানে। এত ভয় কীসের? তবে এটাই বলব আমরা জিতে গেছি। আমরা কোনও দুর্নীতিতে নেই। ভগবানের নাম নিয়ে আমরা প্রচার করেছি। আমরা দেখিয়ে দেব। আমি বহিরাগত নই। কে বহিরাগত সবাই জানে'। শেষবেলার প্রচারে এভাবেই নাম না করে তৃণমূলকে আক্রমণ শাণালেন তারকা প্রার্থী।