মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়ে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় আপতত দ্বীপ রাষ্ট্রেই আটকে পড়েছেন এই টলি সুন্দরী। যদিও শারীরিকভাবে পুরোপুরি ফিট রয়েছেন জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভীষণরকমভাবেই অ্যাক্টিভ তিনি। একুশের ভোট ঘিরে যখন সরগম রাজ্য রাজনীতি, তখন সেই উত্তাপ থেকে অনেকখানি দূরে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। নির্বাচনের মাঠে নেই, ভোট প্রচারেও নেই. তবুও ভোটের আবহ থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখছেন না তাঁরা।
অঙ্কুশ গতকালই দিলীপ ঘোষের শিল্পীদের ‘রগড়ে দেব’ মন্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে পালটা জবাব দেন। হবু বরের সেই পোস্টে নিজের মতামত দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলাও। এবার বঙ্গ-ভোট নিয়ে মতামতা রাখলেন ঐন্দ্রিলা নিজে। যদিওর এর জন্য রূপকের আশ্রয় নিয়েছেন অভিনেত্রী। ‘বুদ্ধিমানের মতো ভোট দেবেন', এই বার্তা দিতে একটি বহুল প্রচলিত রূপক গল্প শোনান ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলা কী গল্প শোনালেন ? এক সিংহ জঙ্গলে নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে জিতলে সবাইকে বিনামূল্যে পশমের শাল উপহার দেবে! সকলেই প্রতিশ্রুতি পেয়ে দারুণ খুশি। কেবল এক ভেড়া প্রশ্ন তোলে,তবে পশম কোথা থেকে আসবে? উত্তর না দিয়ে সিংহ শুধুই হাসল। এখানেই গল্পের শেষ।
এই পোস্টের সঙ্গে কোনওরকম ক্যাপশন যোগ করেননি ঐন্দ্রিলা। লাল-সবুজ-গেরুয়া কোনও দলকে ভোট দেওয়ার কথাও বলেনি। তবুও ট্রোলাররা ঐন্দ্রিলাকে বিঁধতে ছাড়ল না। একজন তো সটান প্রশ্ন করে বসলেন- ‘দিদি টিকিট দেননি তোমায়’? অনেকে ঐন্দ্রিলাকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকবার পরামর্শ দেয়, কেউ আবার বলে ২ রা মে'র পরই তোমায় জবাব দেব। কেউ লিখেছেন, হ্যাঁ, আমি বুদ্ধি করেই ভোট দেব। একজন পরামর্শ দেওয়ার সুরে ঐন্দ্রিলাকে বললেন, ‘তুমি শিল্পী। শিল্পীর মতোই থাক। সাধারণ মানুষকে জ্ঞান দিতে হবে না। সাধারণ মানুষ ঠিক জানে কাকে ভোট দিতে হবে'।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে টলি তারকাদের প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসা নিয়ে এর আগে ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন অঙ্কুশ। এবার ভেবেচিন্তে ভোট দেওয়ার পরামর্শ দিলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। যদিও তাঁরা আদতে ভোট দিতে পারবেন কি? সেটাও বড় প্রশ্ন। কারণ চতুর্থ দফা নির্বাচন আগামী ১০ এপ্রিল। ওইদিনই ঐন্দ্রিলার এলাকার ভোট। নায়িকার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই দেশে ফেরবার ফ্লাইট ধরতে পারবেন মলদ্বীপের রিসর্টেবন্দি অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা।