একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরের হয়েই ময়দানে একাধিকা তারকা। দিদির বহুদিনের প্রশংসক সায়ন্তিকা মাসখানেক আগেই নাম লিখিয়েছেন দলে। নির্বাচনে বাঁকুড়া আসন থেকে লড়ছেন সায়ন্তিকা। দিদির ‘প্রিয় পাত্রী’ সায়ন্তিকা এখন আদা-জল খেয়ে প্রচারে ব্যস্ত লাল মাটির দেশে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়ন পত্রও জমা দিয়েছেন অভিনেত্রী।
মনোনয়নে জমা দেওয়া হলফনামায় নিজের সম্পর্কে নানান তথ্য দিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। বহু তারকা প্রার্থীরই যেখানে সম্পত্তির পরিমাণ কোটিতে সেখানে অনেকখানি পিছিয়ে রয়েছেন সায়ন্তিকা। পাশাপাশি সঞ্চয় এবং ব্যাঙ্কের কাছে সায়ন্তিকার ঋণের পরিমাণ হয়রান করবে। এই মুহূর্তে তাঁর হাতে রয়েছে মাত্র ৪৩ হাজার ১২৭। বন্ধন, অ্যাক্সিস, এইচডিএফসি এবং আইসিআইসিআই মিলিয়ে মোট ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সায়ন্তিকার, এর মধ্যে তিনটি যৌথ অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টের সংখ্যা অনেক হলেও একমাত্র বন্ধন ব্যাঙ্কের যৌথ অ্যাকাউন্টেই ৩৪ হাজার ৭৯৬ টাকা রয়েছে এই তারকা প্রার্থীর নামে। অন্যদিকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের খাতায় রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং আরও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আছে ২৭৭ টাকা। সায়ন্তিকার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স ১ টাকা, বাকি চারটিতে শূন্য!
সায়ন্তিকার নিজের নামে কোনও বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিংবা জমি নেই।কমিশনে জমা দেওয়া হলফনাফা অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সায়ন্তিকার মোট আয় ছিল ১১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬০ টাকা। মোটা টাকার ঋণের বোঝায় রয়েছে সায়ন্তিকার মাথায়। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে তাঁর ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৮৯১ টাকার ঋণ রয়েছে, যা গাড়ি কেনবার জন্য নিয়েছিলেন সায়ন্তিকা।পাশাপাশি আইসিআইসি ব্যাঙ্কের কাছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ১৮ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে। এ ছাড়া দুটি পৃথক ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৩৩ টাকা এবং ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩৯৭ টাকা পরিশোধ করতে হবে সায়ন্তিকাকে। অর্থাত্ সব মিলিয়ে তাঁর ঋণের পরিমাণ ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪০ টাকা!
বাড়ি বা জমি না থাকলেও সায়ন্তিকার একটি বিলাসবহুল গাড়ি আছে। যার বর্তমান বাজারদর ৪৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। ২০১৮ সালে এই মার্সিডিজ বেন্জ কিনেছিলেন সায়ন্তিকা। এছাড়া মোট ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা মূল্যের সোনার গহনা রয়েছে সায়ন্তিকার।ব্যাঙ্ক ব্যালান্স, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী, সায়ন্তিকার সম্পত্তির মোট পরিমাণ মাত্র ৪৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫২ টাকা।