‘কথা দিচ্ছি, ব্যারাকপুর বিধানসভা আসন জিতে দিদিকে উপহার দেব’, নির্বাচনের টিকিট পেয়ে আত্মবিশ্বাসের সুরে এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। বহুদিন ধরেই দিদির স্নেহের পাত্র এই পরিচালক, তবে সদ্যই নাম লিখিয়েছেন প্রকাশ্য রাজনীতিতে। গত মাসে মমতার হুগলির জনসভায় ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ পরিচালক। প্রত্যাশামতোই একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন রাজ, তবে লড়াইটা সহজ হবে না। কারণ তাঁর কেন্দ্র রাজ্যের অন্যতম অস্থির এলাকা হিসাবে পরিচিত ব্যারাকপুর। কিন্তু প্রথমদিন থেকেই আত্মবিশ্বাসী তিনি।
যদিও রাজ চক্রবর্তীকে ব্যারাকপুর বিধানসভা আসনের জন্য বেছে নেওয়ায় কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা তথা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই টলিউড পরিচালককে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ব্যারাকপুরে ফিল্মি ডিরেক্টর বা চলচ্চিত্রের মতো জায়গা ওটা নয়, এখানে প্র্যাক্টিকেল কাজটা বেশি হয়। ওখানে লোক নাটক বা ছবি কম দেখে বা কম বোঝে’। পালটা রাজ বলেন, ‘উনি হয়ত পেশি শক্তিতে বিশ্বাস রাখেন। উনি জানেন না, ওই জায়গাতে ১০০-টির বেশি নাটকদের দল আছে। সেইসব বোধহয় ওঁনার জানা নেই’।
অর্জুন সিং রাও বলেন, ‘ব্যারাকপুর জায়গাটা নেওয়া অসুবিধা আছে, সেটা উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বুঝে গেছেন তাই যাকে তাকে ওটা দিয়ে দিয়েছে’। এই ‘যাকে-তাকে’ কটাক্ষ প্রসঙ্গে রাজ এক সর্বভারতীয় চ্যানেলকে জানান, ‘আমার মনে সারা পৃথিবীতে যত বাঙালি আছেন, তাঁদের পঞ্চাশ শতাংশ অন্তত আমাকে চেনে, আমার কাজের জন্য, তাঁরা আমার সিনেমা দেখেছে। ওঁনাকেও হয়ত জানে অন্যভাবে। আমি হয়ত যাতা, কিন্তু আমার নামে তো আর ৯৭টা কেস নেই, আমি তো বোমা বানাই না। আমি সিনেমা বানাই। যে কোনও পেশার মানুষ রাজনীতিতে আসতে পারে। এটা নিয়ে কারুর আপত্তি থাকবার কথা নয়। উনি বললন, যে খুবএকটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না (আমাকে), তবে আমি কথা দিচ্ছি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমি কথা দিলাম এই সিট আমি জিতব, এবং এই সিট আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেব। আমি হালিশহরের ছেলে, আমি কাঁচরাপাড়ায় বড় হয়েছি, নৈহাটি কলেজে পড়েছি। ওই জায়গাটা আমি চিনি। আমি ওখানকার মানুষকে চিনি’।
এরপর নিজের সিনেমার নাম টেনে রাজ বলেন, ‘আমার একটা ফিল্ম ছিল, দ্বিতীয় ছবি, সুপার ডুপার হিট করেছিল, চ্যালেঞ্জ নিবি না… পরে একটা ট্যাগ লাইন ছিল, ওটা বললাম না। তবে বলছি চ্যালেঞ্জ নিবি না'।