করোনা সংকটে থমকে গিয়েছে জনজীবন। এই মহামারীর জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি।লকডাউন শুরুর আগে থেকেই থমকে গিয়েছে শ্যুটিংয়ের কাজ। গত ১৮ মার্চ থেকে তালাবন্ধ টলিগঞ্জ। টেকনিশিয়ান থেকে ভারতলক্ষ্মী সর্বত্রই এক ছবি। মঙ্গলবার নবান্নের সভাঘরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে টলিগঞ্জের শিল্পীদের কাজ শুরু করার অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান- এডিটিং ও ডাবিংয়ের কাজ এখন শুরু করা যাবে। অর্থাত্ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শুরু করার অনুমতি পেল টলিগঞ্জ। তবে এখনই শ্যুটিং শুরুর অনুমতি মেলেনি। তার জন্য দিন কয়েক অপেক্ষা করতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের উদ্দেশ্যে, জানানো হয়েছে ইমপা, আর্টিস্ট ফোরামের সঙ্গে আলোচনার পর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজের অনুমতি দেওয়া হল। তবে নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানানো হয়েছে- কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে অবস্থিত এডিটিং,ডাবিং,মিক্সিং স্টুডিও গুলিতেই একমাত্র কাজ করা যাবে। কাজের সময় করোনা সংক্রান্ত সব সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। হাইজিনের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
১৭ মে পর্যন্ত দেশে জারি রয়েছে তৃতীয় পর্বের লকডাউন। আজ রাত আটটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই হয়ত শ্যুটিং শুরুর ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
দিন কয়েক আগে ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন)'র তরফে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি শ্যুটিং নিয়ে একটি বিশেষ তালিকা প্রকাশ করা হয়। একগুচ্ছ নিময়বিধি মেনে চলার প্রস্তাবনা সেখানে দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে সবুজ সংকেত মিললেই সমস্ত সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে শ্যুটিংয়ের নিময়বিধি ঠিক করা হবে। তবে শ্যুটিং চালু হলেও একাধিক বিধিনিষেধ যে থাকবে তা পরিষ্কার।