৪ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রয়াত কিংবদন্তি বলি-অভিনেতা ঋষি কাপুরের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী।দু' বছর ধরে শরীরে বাসা বাঁধা মারণরোগ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে ২০২০ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। এদিন ঋষির স্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বলি-অভিনেত্রী নীতু কাপুর জানিয়েছেন মৃত্যুর আগে ঋষির শেষ দুটি ইচ্ছের কথা।
সম্প্রতি, কুইন্ট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীতুর জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলে রণবীর কাপুরের বিয়ে দেখার বড় সাধ ছিল ঋষির। বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার নিজের স্ত্রীর কাছে ঋষি জানাতেন ' রণবীর ঘোড়ায় চড়েছে, এই দৃশ্যে দেখতে বড় সাধ হয়'। উল্লেখ্য, পেশোয়ারি রীতিনীতি অনুযায়ী বিয়ের দিন পাত্র ঘোড়ায় চড়ে ছাদনাতলায় হাজির হয়।
জানিয়ে রাখা ভালো, দেশভাগ হওয়ার আগে পাকিস্তানের পেশোয়ারে কাপুর পরিবারের আদি বাড়ি ছিল। নীতুর কথায়, 'রণবীরের বিয়ের রীতিনীতির ব্যাপারে বড্ড একরোখা ছিলেন ঋষিজী। বলতেন বিয়ের দিন রণবীরের মাথায় যেন থাকে উষ্ণীষ যুক্ত পাগড়ি, সেই পাগড়ির মধ্যমণি হিসেবে থাকবে একটি বহুমূল্য পান্না, শরীরে থাকবে পাঠান স্যুট এবং বসতে হবে ঘোড়ায়'।
দ্বিতীয় ইচ্ছে হিসেবে ঋষির সাধ ছিল তাঁদের বাড়ি অর্থাৎ কৃষ্ণা-রাজ বাংলোকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা। ছেলে রণবীর ও মেয়ে রিদ্ধিমার একটি করে অ্যাপার্টমেন্ট ও তাঁর এবং নীতুর আলাদা একটি অ্যাপার্টমেন্ট। ব্যাস! সেইটো এগোচ্ছিল কাজও। করোনা অতিমারির আগে প্রতিদিন অন্তত একবার করে হলেও বাড়ি নির্মাণের জায়গায় হন্তদন্ত হয়ে ছুটতেন। গিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন।
নিজের বক্তব্যের শেষে ঋষি-পত্নী আরও বললেন যে আজ যদি ঋষি কাপুর বেঁচে থাকতেন তবে এই দিনে নিজের জন্য একটি জবরদস্ত একটি স্যুট কিনতেন। বরাবরের মতো। বরাবরের ভালো স্যুট এবং জুতোর প্রতি দুর্বল ছিলেন ঋষি। হাসতে হাসতে নীতু জানিয়েছেন যত রাজ্যের নামি দামি ব্র্যান্ডের স্যুট কিনতেন ঋষিজী। আর নানান রঙের। জুতোর ক্ষেত্রেও গল্পটা এক। এখনও নাকি ওঁর আলমারি খুললে একগাদা অব্যবহৃত স্যুট ও জুতো পাওয়া যাবে, যা একদিনের জন্যেও পরা হয়নি তাঁর। নিজের স্বামীকে যে আজও ভীষণ মিস করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তা সাক্ষাৎকারে স্বীকার করতে কোনও কুন্ঠাবোধ করেননি তিনি।