গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি বেশ অস্থির। বিরাট পালা বদল হয়েছে দেখানে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর বারবার অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছে। তাছাড়াও বাংলাদেশের এমন কিছু ছবি সমাজ মাধ্যমের পাতায় দেখা গিয়েছে যেখানে ভারতকে অবমাননা করারা বেশ কিছু দৃশ্য উঠে এসেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের মানুষের মনেই। তাই বহু ভারতীয় চিকিৎসক জানিয়েছেন যে তাঁরা আর, বাংলাদেশের রোগী দেখবেন না। এমনকী বেশ কিছু হাসপাতাল জানিয়েছে, ওপার বাংলার রোগী ভর্তি নেবেন না। বেশ কিছু হোটেল মালিকও এই পথ অবলম্বন করেছেন। পণ্য আমদানি রপ্তানিতেও এর প্রভাব বিদ্যমান। কিন্তু এই অবস্থায় শিল্পীদের অবস্থানটা ঠিক কী? সেই প্রশ্নের এবার জবাব দিলেন সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়।
এই সময় অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের মন্ত্রী তথা জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয় জানান, শিল্পীদের উপরও নানা রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুধু বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়, এর আগেও তিনি এমন ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।
তবে এখানেই শেষ নয়। বাবুল দাবি করেছেন এক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং নাকি তাঁর গান গাওয়ারও বিরোধিতা করেছিলেন। আর সেই কারণেই নাকি ইস্তফাপত্র দিয়েছিলেন সঙ্গীত শিল্পী।
আরও পড়ুন: খোলা চুলে ঢেকেছে মুখ, কালো শাড়িতে 'জুন আন্টি' এবার 'মঞ্জুলিকা'! বড় চমক উষসীর
বাবুল সুপ্রিয়র মতে, শিল্পীদেরও সীমারেখা হয়। আর তা চলেও আসছে বহু দিন ধরে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক সময় আমি বাহারিন, মাস্কট, দুবাইয়ে অনেক শো করেছি। ২০১৪ সাল থেকে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’
পাশাপাশি বাবুল আরও জানান যে, নরেন্দ্র মোদীও তাঁর গানের বিরোধিতা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘২০১৬ থেকে মোদীজিও আমার গান গাওয়ার বিরুদ্ধে হঠাৎ ভীষণ অ্যান্টি হয়ে গেলেন। গান গাওয়া যাবে না। ২০১৭ সালে এক বার রিজাইনও করেছিলাম।’ পাশাপাশি বাবুল জানান যে, এই সীমারেখার কথা শিল্পীদের সরাসরি বলা হয় না। এই ধরনের চাপানউতর শিল্পীদের কাজে প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: ‘যতদিন না এটা হচ্ছে, ভারতে আর শো করব না’, দিলজিৎ-এর ঘোষণায় হইচই, কোন শর্ত দিলেন পাঞ্জাবি তারকা?
প্রসঙ্গত, ২০১৪ এবং ২০১৯ পরপর দুই নির্বাচনে আসানসোল থেকে বিজেপি হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে জয়ী হন বাবুল। তাঁর প্রথম জয়ের পর আসানসোলে বাবুলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। তবে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব তখনও তাঁর পাওয়া হয়নি। তবে পরে মন্ত্রিত্বের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে দলের সঙ্গে বাবুলের সম্পর্কে চিড় ধরে। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।