ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিজেকে মেলে ধরতে প্রস্তুত অভিনেত্রী নুসরত ভরুচা। ওটিটিতে ‘ছালাং’ ছবির মাধ্যমে তাঁর ডেবিউ। যা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন হনসল মেহতা। কম্পিউটার শিক্ষিকার ভূমিকায় এবার হাজির হচ্ছেন 'সোনু কে টিট্টু কী সুইটি' খ্যাত এই অভিনেত্রী। করোনা অতিমারীর জন্য দিওয়ালিতে সরাসরি অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাচ্ছে ছলাং।
দর্শকদের কাছ থেকে এই ছবি নিয়ে ভালো ফিডব্যাক এর প্রত্যাশায় নুসরত। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একসাক্ষাত্কারে এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে নিজের বিয়ের প্ল্যানিং নিয়ে মুখ খুললেন নুসরত।
ছালাংয়ের সেটের আজব কাণ্ডকারখানা-
অভিনেত্রীর কথায়, শ্যুটিং এর প্রথম দিনে তাঁকে হরিয়ানার ভাষায় লম্বা ডায়লগ বলতে বলা হয়েছিল। খুব তাড়াতাড়ি ডায়লগ বলতে হবে তাঁকে। অন্যদিকে সঙ্গে রয়েছেন রাজকুমার রাও, সৌরভ শুক্ল, সতীশ কৌশিক এর মতো তাবড় তাবড় অভিনেতাররা।একটু ভয়েই ছিলেন নুসরত, সংলাপ বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যায় নায়িকার। এরপর গোটা ইউনিটের সামনে পরিচালক হনসল মেহতা চিত্কার বলে ওঠেন-'তুমি এটা কি করছ? এত সোজা একটা সংলাপ বলতে ৫ মিনিট সময় লাগছে তোমার!' প্রথম দিনের শ্যুটিংয়েই নুসরতের কপালে চিন্তার ভাঁজ পরে যায়। নায়িকা যোগ করেন- ‘আমার মনে হচ্ছিল এটা আমার দ্বারা হবে না, কারণ আমি ১ টেকে না পারলে ১০ টেকেও পারি না, ১৫ নম্বর টেক চলার পর সবাই হাসাহাসি শুরু করে দেয়। পরে জানলাম গোটাটাই ইউনিটের সকলের প্ল্যানিং ছিল। হনসল স্যারের আমার উপর চিত্কার করাটা মজা করে করা হয়েছে’। এরপর হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন নুসরত।
রাজকুমারের শিক্ষক নুসরত-
সাক্ষাৎকার চলাকালীন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, শিক্ষিকার ভূমিকায় তাঁকে প্রথমবার দেখা যাচ্ছে। সেই সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা কেমন? তিনি বলেন, নিলীমা চরিত্রে তিনি মন্টু(রাজকুমার)কে দায়িত্ববান ব্যক্তি তৈরি করার চেষ্টা করে গিয়েছেন। যা এক দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।
পালটে ফেলেছেন নামের বানান-
নামের বানান পরিবর্তের প্রশ্নে অকপটে উত্তর দেন নুসরত। তিনি জানান, গত ছবিতে বক্স অফিসে তিনি চরম সফলতা পেয়েছিলেন। তবু তিনি নিউমরোলজিস্টের পরামর্শ নেন এবং আরও ভালো ফলের আশায় নিজের নামের বানান পরিবর্তন করেন।
বিয়ের পরিকল্পনা-
বিয়ে সম্পর্কিত প্রশ্ন করলে নুসরত জানান, তাঁর ছবি ‘প্যায়ার কা পাঞ্চনামা’ শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই তাঁর মা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়ের বিয়ের। এমনকি বহু ছেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়েছেন। তবে তিনি প্রতিবারই টালবাহানা করে কোনও না কোনও ভাবে তা এড়িয়ে যান। যদিও বিয়ের প্রস্তাব আসছে ভরপুর, তবে সেগুলো আপতত এড়িয়েই চলেছেন অভিনেত্রী।
লকডাউনে ঘরের কাজই ব্যস্ত রেখেছিল নুসরতকে
লকডাউনে পরিবারের সঙ্গে কীভাবে সময় কাটালেন তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, পরিবারের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঘরের কাজ করেছেন তিনি। বাবা অথবা মা দুপুরের খাওয়ার বানালে রাতের খাওয়ার প্রস্তুত করতেন তিনি। রান্না করা থেকে বাস মাজা, কাপড় কাঁচা ঘরের সব কাজই তিনি করতেন পরিবারের সকলের সঙ্গে। লকডাউনে মূলত ঘরের কাজেই নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন বলে নুসরত জানান।
১৩ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ছলাং।