সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ান। দিশা যেদিন মারা গিয়েছিলেন, সেই রাতে কী হয়েছিল, টেক্সট মেসেজ দিয়ে তা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানালেন দিশার এক বন্ধু। পেশায় ট্যালেন্ট ম্যানেজার দিশার ওই বন্ধু সুশান্তের সঙ্গেও কাজ করেছেন।
দিশার বন্ধু দাবি করেছেন,গত ৮-৯ জুন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়। কলেজের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপেও সেই মেসেজগুলি শেয়ার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও দিশার ওই বন্ধুর কোনও দাবির সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৮-৯ জুন রাতে বন্ধু এবং বাগদত্তার সঙ্গে পার্টি করছিলেন দিশা এবং ‘যথেষ্ট পরিমাণে মদ্যপান’ করেছিলেন। দিশা নাকি অভিযোগ করেছিলেন, ‘কেউ আর কারোর পরোয়া করে না’ এবং একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ঘরের মধ্যে থেকে জলের ট্যাপের আওয়াজ শুনে বন্ধুরা ভেবেছিলেন, দিশা কোনও জিনিস ফেলছেন। কিছুক্ষণ পর বন্ধুরা দরজায় ধাক্কা দিলেও দিশা বেরিয়ে আসেননি। কোনও সাড়া দেননি। দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেছিলেন, দিশা ব্যালকনি থেকে নীচে পড়ে আছেন। তাঁরা নীচে পৌঁছানোর আগেই নিরাপত্তারক্ষী পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। দিশার বন্ধুদের দাবি, প্রথমে জীবিত ছিলেন সুশান্তের প্রাক্তন ম্য়ানেজার। পরে হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
পুরো মেসেজ দেখুন :
'তার (দিশা) বাগদত্তা রোহন, কলেজের হিমাংশু, ওর (দিশার) ছেলেবেলার দুই প্রিয় বন্ধু নীল ও দীপ এবং নীলের নতুন বান্ধবী সেখানে ছিল।
এটা রোহন এবং দিশা বাড়ি। যা রোহন কিনেছিল। কারণ ওরা বিয়ে করত এবং অন্যত্র যেত।
ওর (দিশা) পরিবারের সঙ্গে কিছু সমস্যা হচ্ছিল এবং রোহনের সঙ্গে স্বাভাবিক ঝগড়া হচ্ছিল। কিন্তু ওর (রোহন) সঙ্গে গুরুতর কিছু হয়নি।
চারদিন আগে ও (দিশা) মালাডের এই বাড়িতে এসেছিল।
গতকাল সবাই এসেছিল এবং সবাই মদ্যপান করেছিল।
ও (দিশা) ভালোমতো মদ্যপান করেছিল এবং ‘কেউ কারোর পরোয়া করে না’-র মতো জিনিস বলতে বলতে কাঁদতে শুরু করেছিল।
মদ্যপানের পর ও (দিশা) প্রায়শই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ত।
ও (দিশা) রাত আটটা নাগাদ আমার বন্ধু জীবিতাকে ফোন করেছিল এবং লকডাউন পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেছিল।
মধ্যরাতে ব্রিটেনে ওঁর (দিশা) সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিল এবং একই জিনিস বলেছিল।
তারপর ও (দিশা) কাঁদতে শুরু করেছিল এবং হিমাংশু বলছিল, কী এরকম পার্টি পপার (আনন্দের মধ্যে দুঃখিত হয়ে থাকা কোনও ব্যক্তি বা মহিলা) মতো হচ্ছিস!
তারপর ও (দিশা) ঘরে গেল, দরজা বন্ধ করে দিল এবং ট্যাপ চালিয়ে দিল। ওরা ভেবেছিল, ও (দিশা) কিছু ফেলছে।
ওরা ডাকতে থাকে। কিন্তু কোনও সাড়া না দেওয়ায় ওরা (দরজা) ভাঙে এবং ও (দিশা) সেখানে ছিল না।
হিমাংশু এবং দীপ নীচে তাকায় এবং দেখতে পায় কী হয়েছে এবং দৌড় লাগায়। ততক্ষণে নিরাপত্তারক্ষী পুলিশে ফোন করেছেন।
ওর (দিশা) হৃৎপিণ্ডি তখনও সচল ছিল এবং দেহ ছিন্নভিন্ন হয়েছিল (১৪ তল) এবং ওরা তাকে (দিশা) তুলে দীপের গাড়িতে রাখে এবং তিনটি হাসপাতালে যাওয়া হয় এবং সবাই (ভরতি) নিতে অস্বীকার করে।
চতুর্থ হাসপাতাল অনুমতি দেয় এবং মৃত বলে ঘোষণা করে।
এখন কোভিড টেস্ট চলছে। যদি নেগেটিভ হয়, তাহলে ময়নাতদন্তের পর ওরা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে।
এদিকে, সব ছেলেরা হেফাজতে রয়েছেন। তবে পুলিশের সঙ্গে বাড়িতে।
রোহনকে বারবার বিরক্ত করা হচ্ছিল।
দিশার পরিবার খুব রেগে ছিল, কারণ ওরা ওদের (দিশা ও রোহনের) ঝগড়ার বিষয়ে জানত।
এবং প্রত্যেকের কাছেই অবিশ্বাসের ঠেকছিল। কারণ কেউ ভাবেন ও (দিশা) (আত্মহত্যা) করবে।'