মাদকের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় এক মাস কারাগারে ছিলেন বাংলাদেশের চর্চিত অভিনেত্রী পরীমনি। এই সময় একটি চিঠি তার শক্তি জুগিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৪ আগস্ট গ্রেফতার হওয়ার পর তিন দফা রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। ২৬ দিন পর জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান নায়িকা। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। গত বুধবার সকালে সাড়ে ৯টায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বনানীর বাড়িতে আসেন পরীমনি। রবিবার বিকালে নিজের ফেসবুক পাতায় একটি চিঠি প্রকাশ করেন পরীমনি। ক্যাপশনে লেখা— ‘একটা চিঠি, আমার সব শক্তির গল্প। এখানেই...’।
চিঠিতে লেখা, 'নানু আমি ভালো আছি। কোনো চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শিগ্রই দেখা দিব।' চিঠির নিচে রয়েছে পরীমণির দাদু শামসুল হক গাজীর সই। তা থেকেই বোঝা যায় এটি অভিনেত্রীর দাদু তাঁকে লিখেছেন। অভিনেত্রীর নানা শামসুল হক গাজী আদর করে 'নানু' বলে ডেকেছেন পরীমনিকে।
বাবা-মাকে হারানোর পর পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার সিংহখালী গ্রামে নানার বাড়িতেই শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পরীমনির। এই ছোট্ট চিঠিটি কীভাবে শক্তির উৎস বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকার কাছে? এবিষয় বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে পরীমনি জানিয়েছেন, 'আমি গ্রেফতার হওয়ার পর নানু ভাই আমাকে চিঠিটি দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই আমি এটি অক্ষত রাখার চেষ্টা করেছি। আটক, রিমান্ড, জেলসহ নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত আমি এটি অক্ষত রাখতে পেরেছি। এই চিঠিটি আমার জীবনের একটি শক্তি।'
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নানার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার কথা বলেছেন পরীমনি। অভিনেত্রী গ্রেফতারের পর আদালত প্রাঙ্গণে তাঁকে দেখতে গিয়ে নানা শামসুল হক গাজী বলেছিলেন, ও নিজের সারাটা জীবন মানুষের জন্য করে এসেছে। ও পরিস্থিতির শিকার।