মার্কিন র্যাপার কানিয়ে ওয়েস্টের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁর বিচ্ছিন্না স্ত্রী বিয়াঙ্কা সেন্সরি। অভিযোগ, স্ত্রী বিয়াঙ্কার মা আলেকজান্দ্রা সেন্সরির সঙ্গেও নাকি তিনি শুতে চেয়েছিলেন। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন স্ত্রীর মায়ের সঙ্গেই যৌন সম্পর্ক তৈরির প্রবল ইচ্ছে ছিল কানিয়ে ওয়েস্টের। এছাড়াও কানিয়ের বিরুদ্ধে তাঁর প্রাক্তন সহকারী লরেন পিসিওটাও মাদক সেবন ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন।
বিয়াঙ্কা সেন্সরি-র বিস্ফোরক অভিযোগ?
দ্য ওনলি ফ্যানস মডেল বিয়াঙ্কা সেন্সরি অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে তাঁদের বিয়ের আগে থেকেই তাঁর মা আলেকজান্দ্রা সেন্সরি স্বামী কানিয়ে ওয়েস্টের পছন্দের তালিকায় ছিলেন। মামলা অনুসারে, মডেল দাবি করেছেন, সেন্সরি ছিলেন কানিয়ে-র অন-কল সেক্স পার্টি অংশগ্রহণকারী / কর্মচারী। সেন্সরির মা লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার আগে তিনি তাঁর কাছে শুধুমাত্র মায়ের খবরাখবর নিতে যাওয়ার জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি আদালতে ৮ অক্টোবর দায়ের করা একটি নতুন মামলায় মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন দম্পতির মধ্যে টেক্সট মেসেজে কিছু কথোপকথন হয়। যেখানে কানিয়ের স্ত্রী বিয়াঙ্কাকে লিখেছিলেন 'আপনার মা চলে যাওয়ার আগে আমি ওঁর সঙ্গে শুতে চাই।' আরও বলা হয়েছে, আমি চাই, আমি যখন আপনার মায়ের সঙ্গে শোব, সেটা যেন আপনি দেখেন।'
এদিকে সেন্সরি, তিনি তখন ওয়ার্কিং ভিসায় মার্কিন মুলুকে ছিলেন এবং নিজের চাকরি বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি মেসেজের উত্তরে কানিয়ে ওয়েস্টকে তাঁর থেকে দূরে থাকতে বলেছিলেন। উত্তরে আরও লেখেন, আলেকজান্দ্রা বিবাহিত। আর আমিও এই সপ্তাহে বিবাহিত কারোর সঙ্গে শোব, সেটা তখন আপনি দেখবেন।
কানিয়ে ওয়েস্টের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগ
এখানেই শেষ নয় কানিয়ে ওয়েস্টের বিরুদ্ধে তাঁর প্রাক্তন সহকারীও জোর করে মাদক সেবন করানোর ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। প্রাক্তন সহকারী লরেন পিসিওটার অভিযোগ, স্টুডিয়োতে কাজ করার সময় তাঁর পানীয়র মধ্যে অজ্ঞাত মাদক মিশিয়ে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন কানিয়ে। অভিযোগ, র্যাপার তাঁর জন্য় যে মাদক অর্ডার করেছিলেন, যেটা খাওয়ার পর তাঁর শরীর ও মস্তিস্কের উপর আর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। পরবর্তী সময়ে তাঁকে কানিয়ের কোম্পানি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই র্যাপার কানিয়ে ওয়েস্টের সঙ্গে তাঁর মডেল স্ত্রী বিয়াঙ্কা সেন্সরির বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে।