থিয়েটারে ‘জওয়ান’ ঝড়ের মাঝেও সানির দাপট জারি রয়েছে। দেশের বক্স অফিসে তুড়ি মেরে ৫০০ কোটির গণ্ডি পার করে ইতিহাস লিখেছেন সানি দেওল। দু-দশক পর কেরিয়ার সাফল্যের মুখ দেখলেন ধর্মেন্দ্র পুত্র। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ৬৫ বছরের নায়ক। ফের একবার বলিউড প্রযোজকদের পছন্দের তালিকায় ঢুকে পড়েছেন তিনি। গদর ২-এর সাফল্যের মাঝেই একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয় এক লাফে নাকি নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন সানি। ছবি পিছু ৫০ কোটি টাকা দর হাঁকছেন তিনি। এই জল্পনা নিয়ে অবশেষে জবাব দিলেন অভিনেতা।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টিভি-র ‘আপ কি আদালত’-এর মঞ্চে পৌঁছেছিলেন সানি দেওল। সেখানেই এই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেন তারকা। সানি বলেন, ‘এটা প্রযোজকের সিদ্ধান্ত, ছবি কত আয় করবে সেটা ভেবে উনি পারিশ্রমিক ঠিক করেন।’ ছবি বক্স অফিসে ৫০০ কোটি ব্যবসা করে হিরো কি ৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিতে পারেন? উত্তরে ঢাই কিলোর হাতের মালিক বলেন- ‘এটা তো প্রযোজক ঠিক করবেন উনি কত টাকা দিতে পারবেন। আমি সেই নিয়ে কিছু বলব না, আমি এইভাব কাজ করি না। আমি সেই ধরণের প্রোজেক্টের অংশ হতে চাই যেখানে আমি কারুর বোঝা হব না'।
গদর ২-এর জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন সানি? সেই নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। খবর, এই ছবির জন্য ২০ কোটি টাকা পকেটে পুরেছেন সানি। অনেকেই দাবি করছিলেন, গদর ২ বক্স অফিসে ব্যাপক টাকা কামালেও প্রযোজকদের ভাঁড়ার নাকি খুব বেশি ভরেনি। এর জন্য সানি-সহ বাকিদের বিপুল পারিশ্রমিককে দায়ী করা হয়। যদিও সেই সব গুজব উড়িয়ে পরিচালক অনিল শর্মা জানিয়েছেন, ছবির স্বার্থে কম পারিশ্রমিক নিয়েছেন সানি দেওল। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক নয়, ছবির উন্নতির স্বার্থেই টাকা খরচ করেছেন প্রযোজক।
গত ১১ই অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল গদর ২। মুক্তির দিনই ৫৫ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল এই ছবি। ২২ বছরের ব্যবধানে ফিকে হয়নি তারা সিং আর সাকিনার প্রেমকথা, বুঝিয়ে দিয়েছিল দর্শক। সেই শুরু। এরপর প্রতিদিনই বক্স অফিসে নতুন খেল দেখিয়েছে এই ছবি। ভেঙেছে একের পর এক রেকর্ড। সত্তরের দশকের ভারত-পাক প্রেক্ষাপটে সাজানো এই ছবি। ‘ক্রাশ ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’-এর জেরে অগ্নিগর্ভ পাকিস্তান, সেখানেই ছেলেকে উদ্ধার করতে হাজির তারা সিং। সানি-আমিশা ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন উৎকর্ষ শর্মা ও সিমরত কৌর।