দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে একসঙ্গে পথ চলছেন সুধা মূর্তি এবং নারায়ন মূর্তি। ১৯৭৮ সালে একসঙ্গে পথ চলা শুরু করেছিলেন তাঁরা। মজার বিষয়, বিয়ের চার বছর পর সুধা নারায়ন মূর্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রথম থেকেই সুধা বুঝেছিলেন, স্বামী এতটাই ব্যস্ত যে সংসারে হয়তো তেমন সময় দিতে পারবেন না। এই বিষয়টিকে প্রথম থেকেই মানিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
প্রথম দেখা
কপিল শর্মার সঙ্গে কথোপকথনের সময় ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ বলেন, ‘আমার এক রুমমেট প্রথম সুধার সঙ্গে আমার দেখা করিয়ে দেন। প্রথমেই দেখা করে আমার ভীষণ ভালো লেগে গিয়েছিল সুধাকে। আমি বুঝেছিলাম শুধু একজন খুব ভালো শ্রোতা। আমার সমস্ত কথা খুব মন দিয়ে শুনতো ও, তাই আর কিছু চিন্তা না করে সুধাকে নিজের মন দিয়ে দিয়েছিলাম আমি।’
শশুর মশাইয়ের সঙ্গে দেখা করায় বিপত্তি
মন দেওয়া নেওয়ার পর সুধার বাবাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করেছিলেন নারায়ন মূর্তি। হবু শশুর মশাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ঘটেছিল বিপদ। ট্যাক্সি খারাপ হয়ে যাওয়ার ফলে রীতিমতো ২ ঘন্টা দেরি করে শ্বশুরমশাইয়ের কাজে পৌঁছাতে পেরেছিলেন নারায়ন মূর্তি।
বিপরীত বৈশিষ্ট্যের দুই মানুষ
সুধা এবং নারায়ন দুজনেই একেবারেই বিপরীত বৈশিষ্ট্যের মানুষ। সুধা বলেন, নারায়ন ভীষণ খরচ করতে ভালোবাসেন কিন্তু আমি একেবারেই খরচ করতে চাই না। জামা কাপড় হোক অথবা প্লেনের টিকিট, সব সময় সাধারণ জীবনযাত্রাই আমার পছন্দ। ও একেবারেই আমার বিপরীত। তবে বিপরীত মানুষরাই একে অপরকে আকর্ষণ করে, তাই আমরা আজও একসঙ্গে রয়েছি।
বিয়ে মানেই সুন্দর বোঝাপড়া
সুধা বলেন, নারায়ন এমন মানুষ যিনি আমাদের ২৫তম বিবাহ বার্ষিকী ভুলে গিয়েছিলেন। প্রথমে হয়তো একটু খারাপ লেগেছিল, কিন্তু তারপর বুঝি ও এতটাই ব্যস্ত যে এই তারিখ গুলি মনে রাখার কথা নয়। অন্যদিকে আমি খাবারে যদি নুন নাও দিই, তাও কোনও রকম অভিযোগ করে না ও। এই ছোট ছোট বিষয়গুলি আমাদের একসঙ্গে পথ চলার অন্যতম কারণ।