ফের খবরের শিরোনামে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ এবং সুকেশ চন্দ্রশেখর। তাঁদের দুজনের হোয়াটসঅ্যাপে হওয়া কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এল। সুকেশ কী কী কথা বলেছেন অভিনেত্রীকে, কী কী বাক্য বিনিময় হয়েছে তাঁদের মধ্যে সবটাই এদিন প্রকাশ্যে আসে।
জ্যাকলিন এবং সুকেশের চ্যাট
কিছুদিন আগেই সুকেশ হুমকি দিয়েছিলেন যে তিনি জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে আসবেন। তার পর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই সত্যি তাঁর এবং জ্যাকলিনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ছবি প্রকাশ্যে এল। যদিও দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং এবং টিহার জেলে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সুকেশের এভাবে বেআইনি পদ্ধতিতে ফোন ব্যবহার নিয়ে।
আরও পড়ুন: সুযোগ পেয়েও ফিরিয়েছিলেন রং দে বসন্তীর অফার, পরিচালকের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কী বললেন অভিষেক?
আরও পড়ুন: নাম না করে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে অদেখা প্রমাণ পেশের হুমকি সুকেশের, বললেন, 'পৃথিবীর সত্যটা জানা উচিত'
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে সুকেশ এবং জ্যাকলিনের মধ্যে কী কথা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে সেটার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে যে সুকেশ অভিনেত্রীকে কোর্টে একটি কালো পোশাক পরে আসতে বলেছেন। এছাড়াও বেশ কিছু ভয়েস মেসেজ রয়েছে তাঁদের চ্যাটে যেখানে সুকেশ তাঁর মনে থাকা অভিনেত্রীর জন্য ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেছেন
সূত্রের তরফে আরও জানানো হয় অভিনেত্রী যখন তাঁর মেসেজের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দেন তখন তিনি তাঁকে ওয়েবএক্সের চ্যাট রুমে মেসেজ পাঠাতেন কেস চলাকালীন। অভিনেত্রী তাঁর নির্দেশ ফলো না করলে যারপরনাই ক্ষেপে যেতেন এই ২০০ কোটি টাকা তছরুপের কেসের মূল অভিযুক্ত।
গত সপ্তাহেই সুকেশ জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে এমন কিছু প্রমাণ আছে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে যা এখনও কেউ দেখেননি। তিনি সেগুলো প্রকাশ্যে আনবেন বলেও হুমকি দেন। সুকেশ এই কথা প্রকাশ্যে আবার পরই দিল্লি পাটিয়ালা দ্বারস্থ হন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। সেখানে গিয়ে তিনি ম্যান্ডলি জেলার সুপার দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স শাখায় গিয়ে আবেদন জানান যে তাঁরা যেন সুকেশকে আর কোনও চিঠি প্রকাশ করতে বা স্টেটমেন্ট দিতে না দেন। তাঁর মতে সুকেশের গত ১৫ অক্টোবর লেখা চিঠির বয়ান অত্যন্ত আপত্তিকর। তারপরই ঘটল এই ঘটনা।